Last updated on May 9th, 2023 at 05:38 pm

রক্ত আমাদের শরীরের অত্যান্ত প্রয়োজনিয় একটি অংশ। বেচে থাকার জন্য এর গুরত্ব অপরিসীম। আপনি যখন কোন রোগে আক্রান্ত হন, তখন চিকিৎসক সবার আগে রক্ত পরীক্ষা করাতে বলে। রক্তের উপাদানগুলো সঠিক মাত্রায় আছে কিনা, তা দেখার জন্য। এছাড়া, অনুজীব ঘঠিত রোগ নির্নয়ের ক্ষেত্রেও রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হয়।

এজন্য, রক্ত সম্পর্কে আমাদের ন্যুনতম একটি ধারণা থাকা প্রয়োজন। রক্ত কি, কি নিয়ে গঠিত, রক্তের কাজ কি- বিষয়গুলি আমাদের জানা দরকার। এছাড়া, আমদের শরীরের রক্ত চলাচল পদ্ধতি এবং এক্ষেত্রে হৃদপিন্ড কিভাবে কাজ করে– তাও জানা দরকার।

আলোচ্য পোষ্টে, রক্ত কি, রক্তের উপাদন কি কি, রক্ত কণিকা কাকে বলে, বিভিন্ন ধরণের রক্ত কণিকার কাজ কি, এদের বৈশিষ্ট কেমন – এসব বিষয়ে কিছু তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা করবে।

চলুন – শুরু করি।

রক্ত কি?

রক্ত কি এর উত্তরে সহজ ভাষায় বলতে গেলে, রক্ত হল এক প্রকার তরল পদার্থ যা শরীরের সংবহনতন্ত্রের বিভিন্ন প্রকার নালীর মাধ্যমে সারা দেহে প্রবাহমান থাকে। দেহের সমস্ত কোষ সমুহে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করা হয়। অপরদিকে রক্ত কোষ থেকে বর্জ পদার্থ এবং কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করে তার পরিশুদ্ধতায় কাজ করে।

রক্তের প্লাজমা এবং রক্ত কনিকা বা কোষ নিয়ে গঠিত। কোষ সমুহ রক্তের প্লাজমা বা রক্ত রসের ভিতর নিমজ্জিত থাকে। রক্ত রসে প্রোটিনসহ আরোও কিছু গুরত্বপূর্ণ উপাদান থাকে। যার ফলে রক্ত পানির তুলনায় খানিকটা ঘন হয়ে থাকে।

যে নালির মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত হয় তাকে রক্ত নালি বলে, যেমন, আর্টারি, ভেইন, কেপিলারিস ইত্যাদি। সমস্ত রক্তের প্রায় ৫৫ শতাংশ রক্তরস বা প্লাজমা থাকে এবং অবশিষ্ট ৪৫ শতাংশ রক্ত কোষ নিয়ে গঠিত।

রক্ত সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনিয় তথ্য:

  • একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈহিক ওজনের প্রায় ৭-৮% রক্ত থাকে।
  • মহিলার শরীরে প্রায় ৪-৫ লিটার রক্ত থাকে এবং পুরুষের শরীরে রক্তের পরিমান ৫-৬ লিটার। পুরুষ ও মহিলার দৈহিক ওজনের পার্থক্যের কারণে রক্তের পরিমান নিয়ে এই ভিন্নতা হয়।
  • রক্তের গড় তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
  • এর pH এর মান সাধারণত: ৭.৩৫ থেকে ৭.৪৫ এর মধ্যে যা কিছুটা ক্ষারীয় বা বেসিক প্রকৃতির হয়। আমরা জানি pH মান ৭ এর কম হলে তা অম্লিয় বা এসিডিক হয়।
  • Whole blood বা সম্পূর্ণ রক্ত পানির তুলনায় ৪.৫-৫.৫ গুন বেশি ঘন হয়। এর দ্বার বুঝা যায় প্রবাহিত হওয়ার ক্ষেত্রে এটি পানির তুলনায় কম সক্রিয়। রক্তের এই ঘনত্ব আমাদের বেচে থাকার জন্য খুব উপকারি। কেননা, এটি যদি পানির মত সহজেই প্রবাহমান থাকে তাহলে হার্টের উপর চাপ তৈরি হত। অপরদিকে যদি এর চেয়ে অধিক ঘন হত তাহলে রক্ত নালির ভিতর দিয়ে সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে পারতনা।
  • আর্টারির রক্তে অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে আর্টারিতে রক্ত ভেইনের রক্তের তুলনায় কিছুটা উজ্জল লাল বর্ণের হয়।
  • মানুষের রক্তের বিকল্প হিসাবে কৃত্রিমভাবে তৈরি কোন জিনিস নাই।

রক্তের কাজ কি?

রক্তের প্রধান কাজ তিনটি, যথা-

  • পরিবহন
  • সুরক্ষা
  • নিয়ন্ত্রণ

পরিবহন কাজে রক্তের ভূমিকা:

  • রক্ত ফুসফুস এবং পুরো শরীরের মধ্যে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড পরিবহন করে।
  • পরিপাক তন্ত্র থেকে খাদ্যের সারাংস দেহে শোষিত হওয়ার পর তা রক্তের মাধ্যমে সমস্ত দেহের কোষগুলিতে সরবরাহ করা হয়।
  • দেহের কোষসমুহ থেকে দুষিত বর্জ পদার্থ রক্ত সংগ্রহ করে তা যকৃত ও বৃক্কের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হয় এবং যা পরিশুদ্ধ হয়না তা শরীর থেকে অপসারণ হয়।
  • অন্তক্ষরা গ্রন্থি থেকে যে সব হরমন নি:সৃত হয় তা টারগেট বা অভীষ্ট কোষে পৌঁছে দেয়।

সুরক্ষা কাজে রক্ত:

  • শরীরের ভিতর কোন রোগ-জীবানু প্রবেশ করলে শ্বেত কনিকা তা ধংস বা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। শ্বেত কনিকার ইংরেজি নাম white blood cell.
  • রক্তের প্লাজমায় এন্ডিবডি থাকে যা রোগ-প্রতিরোধের কাজে ভূমিকা পালন করে।
  • শরীরের কোথাও কেটে গেলে প্লেটলেট রক্ত জমাট বাধতে সহায়তা করে। ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়।

নিয়ন্ত্রণ কাজে রক্তের ভূমিকা

  • শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রক্ত কাজ করে।
  • দেহের রাসায়নিক ভারসাম্য বজায় রাখতে যেমন এসিড-বেস ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
  • শরীরের কোষ সমুহে পানির পরিমান নিয়ন্ত্রণে রক্তের ভূমিকা রয়েছে।

রক্ত কি কি উপাদান দিয়ে গঠিত?

রক্ত কানেক্টিভ টিস্যু বা যোজক কলা দিয়ে গঠিত যার মধ্যে দু’টি প্রধান উপাদান থাকে-

  • Plasma : ইহা তরল জাতীয় পদার্থ যা রক্ত রস নামে পরিচিত। প্লাজমা রক্ত কোষ বা রক্ত কনিকার বাইরে থাকে। তাই এটি এক্সট্রা সেলুলার ফ্লুইড।
  • Formed elements: এরা রক্ত কোষ এবং প্লেটলেটস নিয়ে গঠিত। এদের এই কারণে formed element বলা হয় যে, এরা প্লাজমার আবরণ বা প্লাজমা মেমব্রেন দিয়ে আবৃত থাকে এবং এদের সুনির্দিষ্ট গঠন ও আকৃতি আছে। প্লেটলেটস ব্যাতীত সমস্ত formed elements হল কোষ।

রক্ত কণিকা কাকে বলে?

আমরা সবেমাত্র জানলাম যে, রক্ত প্রধানত: দু’টি উপাদান নিয়ে গঠিত। এক- plasma বা রক্ত রস এবং দুই- formed elements. রক্ত উপাদানের এই formed elements এর কোষগুলিকেই  রক্ত কণিকা বলা হয়।

রক্ত কণিকা কত প্রকার কি কি?

রক্তের ৪৫% রক্ত কণিকা নিয়ে গঠিত এবং অবশিষ্ট ৫৫% হল রক্ত রস বা প্লাজমা। রক্ত কণিকা প্রধানত তিন প্রকার, যথা-

  • লোহিত রক্ত কণিকা বা red blood cell
  • শ্বেত রক্ত কণিকা বা white blood cell
  • প্লেটলেটস বা থ্রম্বোসাইট

শ্বেত রক্ত কণিকা পুনরায় নিম্ন লিখিতভাবে ভাগ করা হয়-

  • গ্র্যানিউলোসাইট, granulocytes : এদেরকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়-
    • বেসোফিল
    • ইয়োসিনোফিল ও
    • নিউট্রোফিল
  • এগ্র্যানিউলোসাইট agranulocytes : এরা আবার দুই প্রকার-
    • মনোসাইট
    • লিম্ফোসাইট

লোহিত রক্ত কণিকার বৈশিষ্ট কি?

  • এরা অন্যান্য রক্ত কণিকার তুলনায় রক্তে অনেক বেশি থাকে।
  • রক্তের ৪০-৪৫ শতাংশ অংশে লোহিত কণিকা থাকে।
  • এর বাইকনকেইভ ডিস্কের মত দেখতে।
  • ডিস্কের ডায়ামিটার ৬.২-৮.২ মাইক্রোমিটার।
  • এদের নিউক্লিয়াস থাকে না।
  • এরা না ভেঙ্গে আকার পরিবর্তন করতে পারে।
  • লোহিত রক্ত কণিকায় ৩৩% হিমোগ্লোবিন থাকে।
  • হিমোগ্লোবিনে আয়রন থাকার ফলে রক্ত লাল বর্ণ ধারণ করে।
  • এরা নিজে নিজে মেরামত বা ঠিক হতে পারে না
  • এদের আয়ুস্কাল ১২০ দিন।
  • প্রাপ্ত বয়স্ক কোন মানুষের শরীরের প্রতি সেকেন্ডে ৪০ লক্ষ নতুন লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হয়।
  • পুরুষে এর পরিমান: ৪.৩-৫.৯ মিলিয়ন/ঘন মিলিমিটার এবং মহিলার ক্ষেত্রে: ৩.৫-৫.৫ মিলিয়ন/ঘন মিলিমিটার

শ্বেত রক্ত কণিকার বৈশিষ্ট কি?

শ্বেত কণিকার অপর নাম লিউকোসাইট।

  • রক্তের শতকরা ১ ভাগ এই কণিকা দিয়ে তৈরি।
  • এর পরিমান ৪৫০০-১১,০০০/ঘন মিলিমিটার
  • রক্তের শ্বেত কনিকা ঐ সমস্ত কোষ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ সিস্টেমের প্রধান অংশ।
  • যাবতিয় রোগ জীবানুর সংক্রমণ থেকে বা অন্যান্য foreign পদার্থের ক্ষতিকর প্রভাবের বিরুদ্ধে শরীরের ভিতর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
  • এরা অস্থি মজ্জা বা bone marrow এর multi potent cell যাকে hematopoietic stem cell বলা হয়, সেখান থেকে তৈরি হয়।
  • এরা শরীরের সর্বত্র বিদ্যমান থাকে, যেমন- কানেক্টিভ টিস্যু, লসিকা তন্ত্র বা lymphatic system এবং রক্তস্রোতে।

নিউট্রোফিলের বৈশিষ্ট কি?

  • এরা সবচেয়ে কমন ধরণের শ্বেত কণিকা।
  • লিউকোসাইট বা শ্বেত কণিকার ৬২% অংশ নিউট্রোফিল।
  • এদের নিউক্লিয়াস একাধিক লোব বা অংশে বিভক্ত।
  • নিউট্রোফিলের ভিতর খুব সুক্ষ্ম সাইটোপ্লাজমিক গ্র্যানিউল থাকে।
  • প্রতি ঘন মিলিমিটারে এই কণিকার সংখ্যা ২০০০-৭৫০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • এরা মধ্যম আকারের শ্বেত রক্ত কণিকা।
  • এদের বিভিন্ন নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন আকৃতির কারণে এদের polymorphonuclear (PMN) বলা হয়।
  • এর ডায়ামিটার ১০-১২ মাইক্রোমিটার।
  • এদের আয়স্কাল ৬ ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত থাকে।

ইয়োসিনোফিলের বৈশিষ্ট

  • প্রতি ঘন মিলিমিটারে এদের সংখ্যা ৪০-৪০০ টি।
  • এদের বড় আকারের গ্র্যানিউলস থাকে।
  • নিউক্লিয়াস দু’টি ভাগে বিভক্ত।
  • ডায়ামিটার ১০-১২ মাইক্রোমিটার।
  • শ্বেত কণিকার মধ্যে এদের পরিমান ২.৩% ;
  • আয়ুস্কাল ৮-১২ দিন।

ব্যাসোফিলের বৈশিষ্ট

  • প্রতি ঘন মিলিমিটারে এদের সংখ্যা ০-১০০ টি।
  • Staining এর মাধ্যমে এদের রঙিন দেখা যায়।
  • এর ফ্যাকাশে নিউক্লিয়াস থাকে যা গ্র্যানিউলসের কারণে লুকায়িত মনে হয়।
  • নিউক্লিয়াস দুই বা তিন ভাগে বিভক্ত।
  • ডায়ামিটার ১২-১৫ মাইক্রোমিটার।
  • শ্বেত রক্ত কণিকার মধ্যে এর পরিমান .০৪%।
  • আয়ুস্কাল কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন।

লিম্ফোসাইট এর বৈশিষ্ট

  • ছোট গোলাকার কোষ;
  • এদের নিউক্লিয়াস থাকে।
  • প্রতি ঘন মিলিমিটারে এদের সংখ্যা ১৩০০-৪০০০;
  • ছোট লিম্ফোসাইটের ডায়ামিটার ৭-৮ মাইক্রোমিটার;
  • বড় লিম্ফোসাইটের ডায়ামিটার ১২-১৫ মাইক্রোমিটার
  • শ্বেত রক্ত কণিকায় এদের অংশ ৩০%;

মনোসাইটের বৈশিষ্ট

  • এরা শ্বেত রক্ত কণিকার মধ্যে সবচেয়ে বড় কণিকা।
  • কিডনি আকারের নিউক্লিয়াস বিদ্যমান।
  • প্রতি ঘন মিলিমিটারে এদের সংখ্যা ২০০-৮০০ টি।
  • এর যখন রক্তস্রোতে চলে যায় তখন macrophage -এ পরিবর্তন হয়ে যায়।
  • ডায়ামিটার ১৫-৩০ মাইক্রো মিটার।
  • শ্বেত রক্ত কণিকার মধ্যে এদের পরিমান ৫.৩%;
  • আয়ুস্কাল কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন;

প্লেটলেটস বা থ্রম্বোসাইটের বৈশিষ্ট

  • নিউক্লিয়াস থাকে না।
  • এরা reproduce করে না।
  • এরা অস্থি মজ্জার ক্ষুদ্র fragments.
  • প্রতি মাইক্রোলিটারে এদের সংখ্যা ১৫০,০০০ থেকে ৪০০,০০০ টি।

বিভিন্ন রক্ত কণিকার কাজ

লোহিত রক্ত কণিকার কাজ কি?

  • ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে এরা দেহের সমস্ত কোষে সরবরাহ করে।
  • দেহের কোষসমুহ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করে ফুসফুসে ছেড়ে দেয়।

নিউট্রোফিলের কাজ

  • Phagocytosis প্রক্রিয়ায় এর bacteria ধংস করে।

ইয়োসিনোফিলের কাজ

  • পরজীবি মেরে ফেলায় কাজ করে।
  • এলার্জিক প্রতিক্রিয়ায় ইয়োসিনোফিলের ভূমিকা থাকে।
  • এদের গ্র্যানিউলস থেকে টক্সিন নি:সৃত হয় যা জীবানু বা প্যাথোজেন মেরে ফেলার কাজে সহায়তা করে।

ব্যাসোফিলের কাজ

  • এলার্জিক ক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে।
  • এরা এন্টিকোয়াগুলেন্ট এবং ‍এন্টিবডি নি:সরণ করে। এন্টিকোয়াগুলেন্ট রক্ত জামাট প্রতিহত করে এবং এন্টিবডি রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
  • ব্যাসোফিলের মধ্যে হিস্টামিন থাকে যা রক্তনালিকে প্রসারিত করে।
  • Heparin নামক এন্টিকোয়াগুলেন্ট তৈরি করে।

লিম্ফোসাইট এর কাজ

  • T- lymphocyte হল cell mediate immunity জন্য কাজ করে।
  • B- lymphocyte কাজ করে humoral immunity বা এন্টিবডি তৈরির ক্ষেত্রে।
  • কেনসার কোষ ধংসে কাজ করে।
  • এদের মেমোরি কোষ এর সাহায্যে এরা আক্রমনাত্মক বেক্টেরিয়া ও ভাইরাসকে চিনতে পারে।
  • তারা তাদের মধ্যে উপস্থিত এন্টিজেন এর সাহায্যে immune system এর অন্যান্য কোষকে উজ্জিবিত করতে পারে।

মনোসাইটের কাজ

  • যখন তারা বড় হয়ে যায় তখন মেক্রোফেজ-এ পরিবর্তন হয়ে রক্তে আগত foreign পদার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে।
  • দেহের পুরাতন, ক্ষতিগ্রস্থ এবং মৃত কোষ ধংস করে।

প্লেটলেটস বা থ্রম্বোসাইটের এর কাজ

  • রক্ত জমাট বাধায় কাজ করে।
  • দেহের অন্যান্য রক্ত জমাট প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।