Last updated on May 14th, 2023 at 05:35 am
ফেব্রিক কত প্রকার, কি কি – বিষয়টি নিয়ে শুরু করছি এই পোষ্ট। একে শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় একটি পণ্যের ক্যাটাগরিতে ফেলা যথেষ্ট নয়। কাজেই, ফেব্রিক কত প্রকার কি কি, প্রশ্নটি উঠতে পারে।
ফেব্রিক এমন পণ্য যা জীবনের প্রতিটি মুহুর্তেই ব্যবহৃত একটি পণ্য। ঘুমুতে যাবেন – তো সেখানে বেড কভার, বালিশের কাভার রয়েছে যা ফেব্রিক দিয়ে তৈরি। বাথরুমের কাজ সেরে শরীর মুছতে হলে ফেব্রিক লাগে। খেতে বসবেন – সেখানেও ফেব্রিকস। পরিধেয় বস্ত্র, সে কথা না হয় বাদই দিলাম! কাজেই, কোথায় নেই ফেব্রিকসের ব্যবহার?
এজন্য আমাদের হৃদয়ে স্বভাবিক একটি কৌতুহল জাগতেই পারে – আসলে টেক্সটাইল ফেব্রিকস কি, কিভাবে তৈরি হয়। এর প্রকারভেদই বা কি।
বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় টেক্সটাইল সেক্টরে অনেক উন্নতি হয়েছে। বাজারে এত বেশী প্রকারের ফেব্রিকসের ছড়াছড়ি যার ভিরে অনেক সময় আসলটাই হারিয়ে যেতে পারে। সঠিক ফেব্রিকটি বাছাই করতে বা খুজে পেতে আপনি দ্বিধায় পড়ে যেতে পারেন। আর এই সুযোগটি কোন অসাধু ব্যবসায়ি কাজে লাগিয়ে আপনার কষ্টার্জিত পয়সা ছিনিয়ে নিতে পারে। আপনি প্রতারণার স্বীকার হতে পারেন।
Textile কথাটি ফ্রেন্স শব্দ “Texere” হতে আবির্ভাব হয়েছে যার অর্থ to weave – বুনা বা বয়ন করা। আর fabric শব্দটি উৎপত্তি হয়েছে ফ্রেন্স শব্দ fabrique থেকে যার অর্থ কিছু তৈরি করা। টেক্সটাইল ফেব্রিক প্রাথমিকভাবে উভেন ফেব্রিকস বেলায় প্রযোজ্য হত। বর্তমানে টেক্সটাইল সেক্টরে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসার কারণে ফেব্রিকের বহুবিধ ব্যবহার ও প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফেব্রিক বিষয়ে বর্তমানে ফাইবার, ইয়ার্ন, ফিলামেন্ট, থ্রেড ইত্যাদি মুল উপাদান হিসাবে বিবেচিত।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক মুল আলোচনায় – ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়।
Table of Contents
ফেব্রিক কত প্রকার বিষয়ের উপর এক নজরে কিছু তথ্য
- সমস্ত প্রকার ফেব্রিকের raw materials হল ফাইবার যা প্রকৃতিগত ও কৃত্রিম উভয় উৎস থেকে সংগ্রহ করে ফেব্রিক তৈরি করা হয়। যেমন- কটন, উল, পলিস্টার, পাট, লিনেন ইত্যাদি জাতিয় ফাইবার।
- কাপড় উৎপাদনের সকল প্রকার প্রোসেসিং বা প্রক্রিয়া যেমন- স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডাইং, প্রিন্টিং ও ফিনিশিং।
- স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডাইং ও প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সকল প্রকার মেশিনারিজ।
- এক কথায় টেক্সটাইল ফাইবার থেকে এন্ড প্রোডাক্টস পর্যন্ত , যেমন রেডিমেড গার্মেন্টস এর পণ্য।
তাই আসুন জেনে নেই টেক্সটাইল ফেব্রিকস সম্পর্কে কিছু বেসিক ধারণা।
এবারে আসুন শুরু করা যাক ফেব্রিক নিয়ে আলোচনা।
ফেব্রিক কাকে বলে?
ফেব্রিক শব্দটি একধরণের জাতিবাচক অর্থে প্রকাশিত হয় যা বিভিন্ন প্রকারের পোশাক তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে যেহেতু টেক্সটাইল ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয় কাজেই ফেব্রিক হচ্ছে টেক্সটাইলেরই একটি অংশ মাত্র। ফেব্রিক রেডি মেইড গার্মেন্টসের একটি মৌলিক উপাদান। কারন ইহাই হল গার্মেন্টস ফেক্টরির প্রধান কাঁচামাল।
ফেব্রিক কিভাবে তৈরি হয়?
ইহা ইয়ার্ণ থেকে উইভিং, নিটিং, মেল্টিং, ফেল্টিং প্রভৃতি পদ্ধতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়। ফেব্রিক উৎপাদনে উইভিং এবং নিটিং উভয় পদ্ধতি সর্বাধিক জনপ্রিয় হিসাবে গন্য।
এই সব প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত ফেব্রিক হল গ্রে ফেব্রিক যা সাদা রঙ্গের হয়ে থাকে। এই গ্রে ফেব্রিক ডাইং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রং করা হয়। এরপর প্রিন্টিং এর মাধ্যমে ফেব্রিকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে রঙিন প্যাটার্ন যোগ করা হয়। পরিশেষে কাপড়টিকে ফিনিশিং প্রক্রিয়ায় ভালভাবে শুকিয়ে নিয়ে ফিনিসড প্রোডাক্ট হিসাবে বাজারে দেয়া হয়।
আরোও দেখুন-
- স্রিংকেজ কাকে বলে, কত প্রকার কি কি ও এর পরিমাপ পদ্ধতি।
- টেক্সটাইল জগতে শেড কাকে বলে?
টেক্সটাইল ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি?
আমরা জানি ফেব্রিক হল গার্মেন্টস শিল্পের মুল কাঁচামাল। ফেব্রিকস দিয়ে গার্মেন্টস ফেক্টরিতে তৈরি করা হয় বিভিন্ন মানের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের পোশাক। এছাড়া, অনেক মানুষ রয়েছে যারা রেডিমেইড পোশাক না কিনে বাজার ফেব্রিক কিনে দর্জি দিয়ে বানিয়ে নেয়।
যাহোক, উভয় ক্ষেত্রেই ক্রেতা সাধারণের ফেব্রিক সম্পর্কে একটি ভাল ধারণা রাখা প্রয়োজোন। তাই ফেব্রিক কত প্রকার কি কি এই বিষয়ে আপনার একটি পরিস্কার ধারণা নেওয় প্রয়োজন।
ফেব্রিক সাধারনত দুটি ভিত্তি বিবেচনা করে শ্রেনিবিভাগ করা হয়েছে। একটি ফেব্রিক তৈরির কৌশল এবং অপরটি উৎস।
ফেব্রিক তৈরির কৌশলের উপর ভিত্তি করে ফেব্রিক এর প্রকারভেদ:
- উভেন (Woven) ফেব্রিক
- নিটেড (Knitted) ফেব্রিক
- ব্র্যাইডেড (Braided) ফেব্রিক
- নন উভেন (Non Woven) ফেব্রিক
কয়েকটি উভেন ফেব্রিকসের নাম:
- পপলিন
- টুইল
- ভয়েল
- সাটিন
- ক্যানভাস
- ফ্লানেল
কয়েকটি নীট ফেব্রিকসের নাম:
- সিঙ্গেল জার্সি
- অল ওভার প্রিন্ট
- ইয়ার্ন ডাইড
- গ্রে-মেলাঙ্গে সিঙ্গেল জার্সি
- টেরি জার্সি
- ফ্লিস ওয়ান সাইড ব্রাশ
- রীব
- পিক বা ল্যাকাউস্ট
- লিকরা সিঙ্গেল জার্সি
- লিকরা রীব
- পোলার ফ্লিস
- মেশ ফেব্রিকস
- ইন্টারলক
- স্লাব ফেব্রিক ()
- বার্ন আউট ফেব্রিক
গার্মেন্টস শিল্পে সাধারনত: এই ধরনের ফেব্রিকস ব্যবহার করা হয়।
উৎসের উপর ভিত্তি করে ফেব্রিক কত প্রকার কি কি?
ফেব্রিক তৈরির কাঁচামাল বলতে ফাইবার বা আঁশ বুঝানো হয়। এই ফাইবার যে সব উৎস থেকে পাওয়া যায় তার উপর ভিত্তি করেই এই শ্রেণিবিভাগ।
- প্রাকৃতিক ফাইবার : এই জাতীয় ফাইবার উদ্ভিদ এবং প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায়। যেমন, কটন, লিনেন, সিল্ক ইত্যাদি।
- কৃত্রিম ফাইবার : যেমন পলিস্টার জাতীয় ফেব্রিক কৃত্র্রিম ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়।
আরোও দেখুন:
বন্ধুরা, ফেব্রিক কত প্রকার ও কি কি বিষয়ের উপর যে সব তথ্যাদি প্রদান করা হলো তার উপর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এছাড়া, আমাদের পরবর্তি পোষ্টের নোটিফিকেশন পেতে ফেসবুক পেজ একটি লাইক দিতে ভুলবেন না কিন্তু!
THANKS A LOT VAI
Amazing blog!
Is your theme custom made or did you download it from somewhere?
A design like yours with a few simple tweeks would really make my blog jump
out. Please let me know where you got your design.
Bless you