Last updated on February 9th, 2021 at 05:09 pm

টি শার্ট তৈরির কারখানা – আধুনিক যুগের খুব জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। আপনি হতে পারেন বাংলাদেশ এমনকি সারা বিশ্বের জনপ্রিয় এই টি শার্ট ব্যবসার একজন সম্মানীয় অংশিদার। আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন বা সদ্য লেখাপড়া শেষ করে কোন কিছু করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে টি শার্ট তৈরির কারখানা, ব্যবসাটি নিয়ে ভাবতে পারেন।

নিজের জন্য যে কোন ব্যবসা নতুনভাবে শুরুর আগে আপনার ঐ ব্যবসা সম্পর্কে একটি ধারনা নেওয়া প্রয়োজন। সেই ধারনা লাভের সবচেয়ে উত্তম উপায় হল যদি আপনি কোন টি শার্ট তৈরির কারখানায় নিজে সরাসরি কাজ করতে পারেন। এর ফলে আপনার এই ব্যবসার অনেক খুটিনাটি সম্পর্কে জানার সুযোগ হবে। কিন্তু অনেক উদ্যোক্তার পক্ষেই নিজে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ থাকেনা। এমনও হতে পারে, ঐসব ছোট পদে আপনি কাজ করার আগ্রহি হবেন না।

অপরদিকে, কোন গার্মেন্টস ফেক্টরিতে উপরের পদগুলিতে অভিজ্ঞতা ছাড়া ঢুকাও যায়না। সাধারনত: ছোট পদ থেকেই উপরের পদে যেতে হয়। যেমন ধরুন, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সিনিয়র পর্যায়ের কিছু পদ সুপারভাইজার, প্রোডাকশন ম্যানেজার; এই সব পদে যারা কাজ করে থাকেন তাদের পক্ষে নিজে ফ্যাক্টরি দিয়ে টি শার্ট তৈরির ব্যবসা শুরু করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু এটা বেশীরভাগ নতুন উদ্যোক্তার পক্ষে পরিবেশ-পরিস্থিতির বিচারে সম্ভব হয়ে উঠেনা।

তাই, চলুন এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক আপনার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছারাই কিভাবে আপনিও হতে পারেন এই সেক্টরের একজন ভবিষ্যত সফল উদ্যোক্তা। তার আগে, জেনে রাখতে পারেন টি-শার্ট কত প্রকার ও কি কি – যা অন্য একটি পোষ্টে আলোচনা করা হয়েছে।

 টি শার্ট ব্যবসার বাজার সম্ভাবনা কেমন?

টি শার্টের বাজার সম্ভাবনার কথা বলতে গেলে, বাংলাদেশে এর বাজার সম্ভাবনা প্রচুর। বাংলাদেশের তরুন সমাজের সংখ্যা কিন্তু একবারেই কম নয়। ধরুন এদেশের সর্বমোট জনসংখ্যার পরিমান বর্তমানে প্রায় ১৭ (সতের) কোটি। এর প্রায় অর্ধেক হল পুরুষ। আবার পুরুষ জনসংখ্যার মধ্যে ১০ থেকে ৫০ বয়সের সর্বমোট পুরুষের সংখ্যা হতে পারে প্রায় ৫ (পাঁচ) কোটি।অর্থাৎ বাংলাদেশের টি শার্ট মার্কেটে আপনার সক্রিয় গ্রাহকের সংখ্য ধরে নিতে পারেন প্রায় ৫ (পাঁচ) কোটি। এই বিশাল জনগোষ্ঠি যদি বছরে কমপক্ষে  দুটি করেও টি শার্ট ক্রয় করে তাহলে সারা বছরে টি শার্ট বিক্রির সংখ্যা হবে 10 (দশ) কোটি। এই 10 (দশ) কোটি টি শার্টের মধ্যে  প্রতিটির মুল্য গড়ে যদি একশত টাকা করেও হয় তাহলে বাংলাদেশে টি শার্ট মার্কেটের সাইজ হবে ১০০০ কোটি টাকা। এই সহজ হিসাবের দ্বারাই বুঝে নেওয়া যায় যে, আমাদের দেশে টি শার্ট ব্যবসার সম্ভাবনা কেমন হতে পারে। এখন, হিসাব করুন, এই টোটাল মার্কেট ভলিউমের মধ্যে আপনি আগামি পাঁচ বছরের মধ্যে কত পার্সেন্ট মার্কেট শেয়ার ক্যাপচার করতে চান।

আপনার টি শার্ট ব্যবসা পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত?

যেকোন ব্যবসা শুরু করা সহজ হলেও প্রতিযোগীতার বাজারে টিকে থাকা এতটা সহজ নয়। এর জন্য পয়োজন আপনার সুদুরপ্রসারি এবং বাস্তবসম্মত বিজিনেস প্ল্যান বা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা। আপনার পরিকল্পনা করা চাই কমপক্ষে আগামি পাঁচ বছরকে সামনে নিয়ে। এই মেয়াদের মধ্যে আপনার পরিকল্পনা বছরভিত্তিক করে নিতে হবে। ধরে নেই, আপনি টি শার্ট ব্যবসার জগতে একেবারেই নতুন, এই বিষয়ে আপনার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা সম্ভব হয়নি। আপনি সদ্য লেখাপড়া শেষ করে চাকরির পিছনে না ছুটে উল্টো চাকুরির সুযোগ তৈরির জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেছেন। ব্যবসার শুরুতে আপনার মুলধনের পরিমানও খুব সীমিত। তাহলে এই পরিস্থিতিতে আপনি ব্যবসা শুরু করতে গেলে আগামি পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রতিযোগীতার বাজারে কিভাবে টিকে থাকবেন। তাহলে আসুন ধাপে ধাপে জেনে নেই কি হতে পারে আপনার ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি।

ব্যবসা শুরুর প্রথম দুই বছরের পরিকল্পনা:

প্রথম ধাপ: আপনি আপনার বাড়ির আশে পাশে ছোট সাইজের এমন একটি টেইলর সপ ভাড়া নেওয়ার জন্য খোজ করতে পারেন যেখানে পজিশন বাবদ অগ্রিম টাকা ও দোকানের মাসিক ভাড়ার পরিমান আপনার সাধ্যের ভিতর থাকে।

দ্বিতীয় ধাপ: আপনার অবসর সময়ে টি শার্ট ব্যবসা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণা করা শুরু করুন। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে কোন শিক্ষিত যুবকের পক্ষে যেকোন বিষয়ের উপর তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন কিছু নয়। আপনি এই বিষয়ে গুগল এবং ইউটিউবে সার্চের মাধ্যমে প্রয়োজনী তথ্য পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। বিশেষ করে ইউটিউবের ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে আপনি সহজেই উপকৃত হতে পারেন। এর পাশাপাশি টেইলরিং, ফ্যাশন ডিজাইন বা গার্মেন্টস বিষয়ে আপনি একটি শর্ট কোর্স করে নিতে পারেন।

তৃতীয় ধাপ: প্রশিক্ষণ এবং অনলাইন রিসোর্স থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নেওয়া হয়ে গেলে এবারে আপনি প্রথম ধাপ মোতাবেক দোকানটি ভাড়া নিয়ে চালু করতে পারেন। তারপর একজন দক্ষ শ্রমিক ফুল টাইমের পরিবর্তে কনট্রাক্ট বেসিসে নিয়োগ করুন যার কাপড় কাটা এবং সেলাই উভয় লাইনেই অভিজ্ঞতা থাকে। প্রথম প্রথম দোকানের ভাড়া পরিশোধে যাতে পকেটের উপর চাপ না হয় এর জন্য আপনি পাশাপাশি ফ্লেক্সিলোড এবং বিকাশ-রকেটের এজেন্সি চালিয়ে যেতে পারেন।

চতুর্থ ধাপ: এবারে টেইলর সপের জন্য প্রয়োজনিয় যন্ত্রপাতি এবং এক্সেসরিজ ক্রয় করুন। যন্ত্রপাতির মধ্যে এমন ধরনের সেলাই মেশিন অন্তর্ভূক্ত করুন যা দ্বারা টেইলর সপ পরিচালনা করা যায় এবং একই সাথে টি শার্টও সেলাই করা যায়। এই যন্ত্রপাতির তালিকায় আপনি দুটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেলাই মেশিন (একটি নতুন আর একটি পুরাতন), একটি ওভার লক মেশিন এবং একটি ফ্যাট লক মেশিন রাখতে পারেন। এর পর, প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজ যেমন কেচি, স্কেল, সুতা ইত্যাদি মজুদ রাখুন। তারপর টেইলর সপের জন্য কমন কিছু থান কাপড় মজুদ রাখুন।

পঞ্চম ধাপ: উপরের ধাপগুলি সম্পন্ন হয়ে গেলে, এবারে আপনি আপনার টেইলর সপের মার্কেটিং শুরু করে দিন। এক্ষেত্রে আপনি ইন্টারনেট মার্কেটিং পদ্ধতিও অবলম্বন করতে পারে। যেমন, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, গুগল মাই বিজিনেজ পেজ ইত্যাদি পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। এছাড়াও প্রথম প্রথম আপনার পরিচিত মানুষজন এবং আত্মিয়-স্বজনদের থেকে অর্ডার কালেকশনের চেষ্টা করুন।

ষষ্ঠ ধাপ: টি শার্টের কিছু নমুনা ফেব্রিকস যোগার করুন এবং ট্রায়াল বেসিসে উৎপাদন করা শুরু করুন। এক্ষেত্রে প্রথমে কয়েকটি মিনি গার্মেন্টস ফেক্টরি ভিজিট করুন। তারা যদি আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে না চায় তাহলে তাদের কোন একটি মিনি গার্মেন্টস ফেক্টরি সিলেক্ট করে তাদের দিয়েই প্রথম ট্রায়াল অর্ডারটি সেরে ফেলুন। পাশাপাশি যে দক্ষ শ্রমিকের সাথে আপনার চুক্তি রয়েছে তার কাছ থেকে টি শার্ট তৈরির ধাপগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জেনে রাখুন। তারপর, আপনি ক্রস চেক করে মিলিয়ে দেখুন যে ঐ মিনি গার্মেন্টস যাকে ট্রায়াল অর্ডারটি দিয়েছেন তার টি শার্ট তৈরির কৌশলের সাথে আপনার চুক্তি ভিত্তিক শ্রমিকের কথা কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ। টি শার্ট বানানোর পরের কয়েকটি চালান আপনার নিজস্ব শ্রমিকের মাধ্যমেই করিয়ে নিন এবং নিজে নিজে চর্চা করে তা রপ্ত করুন। এভাবে কয়েকটি ট্রায়াল চালান হাতে কলমে দেখার পর আপনার গ্যাপটুকু পূর্ণ হয়ে যাবে। এভাবেই, আস্তে আস্তে আপনার অভিজ্ঞতার ভান্ডার সমৃদ্ধ হতে থাকবে।

সপ্তম ধাপ: আপনার টি শার্টের ট্রায়াল প্রোডাক্ট তৈরি হয়ে গেলে সেগুলো বাজারজাত করনের পন্থা ঠিক করুন। মনে রাখবেন, ট্রায়াল প্রোডাক্ট হিসাবে তৈরি হওয়া পন্য যাতে অবশ্যই মান সম্পন্ন হয়। ব্যবসার প্রথমে লাভের কথা ভাবা যাবেনা। আপনার মার্কেট ধরতে এবং বুঝতেই সময় পার হয়ে যাবে। টি শার্টের কয়েকটি নমুনা আপনার চারপাশের কয়েকটি দোকানে সরবরাহ করুন এবং লাভ যথেষ্ট সীমিত রেখে অর্ডার নেওয়া শুরু করুন। বড় বড় শপিং সেন্টারে গিয়েও যোগাযোগ করুন এবং দেখুন সেখানে কি ধরণে টি শার্ট কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আপনার তৈরিকৃত টি শার্টের সাথে ঐসব শপিং সেন্টারের টি শার্টের একটি তুলনামুলক স্টাডি করে পরবর্তিতে তাদের মত করে বানানোর শর্তে অর্ডার নেওয়ার চেষ্টা করুন। এভাবে আস্তে আস্তে দুই বছর অতিবাহিত করুন। এর ফলে আপনি প্রথম দুই বছরে নূন্যতম ইনভেস্টমেন্টে আপনি এই সেক্টরের ব্যবসা সম্পর্কে যথেস্ট ধারনা সঞ্চয় করতে পারবেন।

টি শার্ট ব্যবসা শুরুর পরের তিন বছর: 

একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার যাত্রায় প্রথম দুই বছর সময়টিই হলো নতুন যেকোন ব্যবসার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়। আপনি যদি সফলভাবে এই সময় অতিবাহিত করতে পারেন তাহলে পরের সময়গুলো আপনার জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। কারণ, প্রথমে ছিলেন আপনি একেবারেই অনভিজ্ঞ। আর এখন আপনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ। ব্যবসার এই পর্যায়ে আপনি বেশী মুলধন বিনিয়োগ করতে পারেন। কারন, আপনি ইতিমধ্যেই টি শার্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং বাজারজাতকরণ সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চ করেছেন।

টি শার্ট তৈরিতে কি ধরনের ফেব্রিকস ব্যবহৃত হয়?

টি শার্ট কোন ধরনের ফেব্রিকস দিয়ে তৈরি করা হয় বিষয়টি আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে রাখা দরকার। টি শার্টে বিভিন্ন রকমের ফেব্রিকস ব্যবহার করা হয়। ফেব্রিকস প্রসঙ্গে বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে নীট এবং উভেন ফেব্রিকসের বিষয়ে। টি শার্টের বেলায় বহুল ব্যবহৃত ফেব্রিকস হল নীট ফেব্রিকস। টি শার্ট সাধারনত: কটন ইয়ার্ন থেকে তৈরি হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু টি শার্টে একশত ভাগ কটন থাকে আবার কিছু কিছুতে কটনের সাথে পলিষ্টার মিক্সড থাকে। যাহোক, এবার চলে আসি নীট ফেব্রিকসের মধ্যে কোন কোন ফেব্রিকস অধিকাংশ ক্ষেত্রে টি শার্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

  • সিঙ্গল জার্সি
  • ডাবল জার্সি
  • ১x1 রীব ফেব্রিকস
  • ২x২

রীবস আবার গলার অংশ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়।

ফাইবার কনটেন্ট এর উপর ভিত্তি করে নিম্নোক্ত ধরনের ফেব্রিকস ব্যবহার করা হয়:

  • একশত ভাগ খাটি কটন
  • মোডাল ফেব্রিকস
  • লিকরা ফেব্রিকস

টি শার্ট তৈরির ফেব্রিকস কোথায় পাবেন?

টি শার্ট তৈরির ফেব্রিকস আপনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন মার্কেটেই পেতে পারেন। তবে, ইনটেক্ট ফেব্রিকস পেতে হলে পুরান ঢাকার ইসলামপুর, মায়া কাটরা, সদরঘাট থেকে আহসান মঞ্জিল রোডে অনেক দোকান রয়েছে যারা পাইকারি দরে ফেব্রিকস বিক্রি করে থাকে। আবার কম দামে পেতে হলে, মিরপুর ১০ নম্বরের ঝুট পট্টিতেও খোজ করতে পারেন। যদি আপনি বাল্ক কোয়ান্টিটি ফেব্রিকস যোগার করতে চান তাহলে নারায়নগঞ্জ এবং নরসিংদির বিভিন্ন টেক্সটাইল মিল থেকে লট হিসাবে গ্রে কাপড় ক্রয় করতে পারেন। তারপর, কোন ডাইং ফেক্টরি থেকে আপনার পছন্দের রং নির্বাচন করে সলিড কালারে ডাইং করিয়ে নিয়ে টি শার্ট তৈরির কাজে ব্যবহার করতে পারেন। আবার, অনেক সময় এই ধরনের ফেব্রিকসও স্টকলট হিসাবে ডাইং ফেক্টরিতে যোগযোগ করলে পাওয়া যেতে পারে যেখানে আপনার খরচ আরোও কমে যাবে।

একটি টি শার্ট তৈরির কারখানায় কি কি যন্ত্রপাতি এবং এক্সেসরিজ প্রয়োজন?

আজকের গার্মেন্টস সেক্টরে যারা বড় বড় উদ্যোক্তা তাদের অনেকেই প্রথমে ছোট থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। কাজেই, ধরে নেই, সেক্ষেত্রে আপনিও ছোট থেকে যাত্রা শুরু করবেন। বড় বড় গার্মেন্টস ফেক্টরির মালিকগন সরাসরি চায়না, সিঙ্গাপুর থেকে এলসি করে নতুন সেলাই মেশিন আমদানি করে। কিন্তু ছোট খাট উদ্যোক্তার জন্য টি-শার্ট তৈরির কারখানা চালু করার জন্য আপনি মিরপুর-১ নম্বরে মিসকো সুপার মার্কেট খেবে সেলাই মেশিন ক্রয় করতে পারেন। এখানে আপনি নতুন, পুরাতন উভয় প্রকারের সেলাই মেশিনই পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশে গার্মেন্টস ফেক্টরির জন্য সাধারনত: জ্যাক, জুকি এবং ব্রাদার ব্র্যান্ডের সেলাই মেশিন বেশী চলে। এই সব ব্র্যান্ডের সেলাই মেশিনগুলো টেকসই হয়। যাহোক, প্রথম অবস্থায় আপনি নতুন-পুরাতন মিলে চার থেকে পাঁচটি সেলাই মেশিন দিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারেন। আবার যদি কখনোও কাজের লোড বেড়ে যায় তখন এই মিসকো সুপারমার্কেট থেকেই আপনি মেশিন ভাড়া নিয়ে আপনার প্রোডাকশন টার্গেট ফুলফিল করে নিতে পারেন। তবে, টি শার্ট তৈরির কারখানা স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে আপনি নিচের যন্ত্রপাতি ও এক্সেসরিজ ক্রয় করতে পারেন-

  • সিঙ্গল নিডল সেলাই মেশিন- ২ টি;
  • ডাবল নিডল সেলাই মেশিন – ২ টি
  • ওভারলক মেশিন – ১ টি
  • ফ্যাটলক মেশিন – ১ টি
  • কাপড় কাটার মেশিন-১ টি
  • আয়রন-১ টি
  • অন্যান আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যেমন প্রিন্টিং মেশিন, ফেব্রিক, রঙ ইত্যাদি।