চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার : আসুন জেনে নেই।

চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার, কথাটি শুনতে কিছুটা ব্যতিক্রম লাগছে? না, তার কোন কারণ নেই। স্কয়ার দেশের একটি স্বনামধন্য ঔষধ কম্পানি, এতে কারোর সন্দেহ থাকার কথা নাই।

তাই, কম্পানাটি কর্তৃক উৎপাদিত ঔষধ এর বিষয়ে সকলের আস্থা থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। এজন্য, আলোচ্য পোষ্টে উক্ত কম্পানির প্রস্তুতকৃত চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার, শীরোনামে পোষ্টটি সাজানো হয়েছে।

চুলকানি কি?

চুলকানি একটি সাধারণ চর্মরোগ, যেমন এটোপিক ডার্মাটাইটিস, যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।

এটি গৃহিণীদের মধ্যেও হতে পারে, পাশাপাশি ঘামের কারণে হারপিস বা সেবোরিক ডার্মাটাইটিসের মতো সমস্যাগুলোর মাধ্যমে অল্পবয়সীদেরও প্রভাবিত করতে পারে।

চুলকানি নিরাময়ে কার্যকর এবং একটি উচ্চ কার্যক্ষমতা সম্পন্ন স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ।

চুলকানি কেন হয়?

চুলকানি ত্বকের জন্য একটি বিরক্তিকর সমস্যা, যা দৈনন্দিন জীবন এবং মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে রাতের বেলা চুলকানি হলে তা আরও কষ্টকর হয়ে ওঠে।

এ সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়, কারণ এটি কোনো অন্তর্নিহিত রোগের লক্ষণও হতে পারে। তাই চুলকানি নিরাময়ের লক্ষ্যে এর কারণ চিহ্নিত করাই চিকিৎসার প্রথম ধাপ।

স্কয়ার এর চুলকানি নিরাময়ের ঔষধ ব্যবহারের আগে, আসুন জেনে নেওয়া যাক চুলকানির মূল কারণগুলো।

আরো দেখুন – শরীরে কালো দাগ কেন হয়?

চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার : চুলকানির কারণসমূহ:

  1. অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার: কিছু খাবার (যেমন আম, বেগুন, কচু, চিংড়ি মাছ, বাসি খাবার) অ্যালার্জি ত্বরান্বিত করতে পারে। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তন, বাতাসের আর্দ্রতা বা বাইরের প্রতিকুল পরিবেশের সংস্পর্শে আসার ফলে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে।
  2. মশার কামড়: আমাদের দেশে প্রচুর মশা রয়েছে। মশা কামড়ানোর পর দেহে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যা পরবর্তীতে চুলকানি তৈরি করতে পারে।
  3. একজিমা: এটি এক ধরনের চর্ম রোগ যেখানে ত্বকে লালচে আবরণ, ত্বক ফুলে যাওয়া, ফোসকা বা অতিরিক্ত চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। একজিমার বিভিন্ন কারণ হতে পারে যেমন ডার্মাটাইটিস, সূর্যের অ্যালার্জি, ঘাম ফুসকুড়ি ইত্যাদি।
  4. অটোইমিউন রোগ: এই রোগে শরীরের ইমিউন সিস্টেম দেহের নিজস্ব কোষ আক্রমণ করে। এর ফলে চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে।
  5. সংক্রমণজনিত চর্মরোগ: ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণের ফলেও  ত্বকে চুলকানি দেখা দিতে পারে।
  6. হরমোনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থা বা মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চুলকানি হতে পারে।
  7. ঋতু পরিবর্তন: ঋতু পরিবর্তনের ফলে বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকে চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতকালের ঋতু পরিবর্তনে এটি বেশি লক্ষ করা যায়।

চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার

উপরের আলোচনা থেকে ত্বকে চুলকানি বিষয়ে অনেক কিছু জানা গেল। এবার চুলকানির ঔষধের নাম নিয়ে কথা বলা যাক।

ত্বকের এ সমস্যা নিরাময়ের জন্য দেশের স্বনামধন্য ঔষধ প্রস্তুুতকারক, স্কয়ার কম্পানি কর্তৃক উৎপাদিত  চুলকানির ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

নিচে স্কয়ার কম্পানির  কয়েকটি কার্যকরী ঔষধের নাম উল্লেখ করা হলো:

  1. Tebast 10 mg
  2. Flugal 50mg
  3. Fexo 120 mg
  4. Rupatrol 10 mg
  5. Bilista 20 mg

অনলাইনে এসব ঔষধ কেনার জন্য নির্ধারিত অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করতে পারেন।

আরো দেখুন – চুলকানির কালো দাগ দুর করার ক্রিম এর নাম

চুলকানির জন্য কখন ডাক্তার দেখানো উচিত?

  • যদি অ্যান্টিহিস্টামিন বা সাধারণ মলম ব্যবহারের পরও অ্যালার্জি ভাল না হয়।
  • যদি হাত ও পায়ে আমবাত বা আর্টিকারিয়া হয়। একদিন ওষুধ নেওয়ার পরও উপসর্গ যদি অব্যাহত থাকে।
  • শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বা শ্বাসনালী ফুলে গেলে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে যেতে হবে।
  • ওষুধ গ্রহণের পর তীব্র অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া (যেমন ফুসকুড়ি, ঠোঁট ফোলা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ক্লান্তি) হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • গুরুতর ওষুধজনিত অ্যালার্জি যেমন “স্টিভেন-জনসন সিনড্রোম (SJS)” হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

উপসংহার

বন্ধুগন, চুলকানির ঔষধের নাম স্কয়ার – শীর্ষক পোষ্টটিতে কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হলো। এই তথ্যসমূহে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

কোন রোগই হালকা হিসাবে দেখা ঠিক নয়। রোগ বিষয়য়ে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির করতে হবে। সাথে নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে।