Last updated on May 14th, 2023 at 05:40 am
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কি তা জানার আগে চলুন কোয়ালিটি নিয়ে কিছু কথা বলি। কোয়ালটি বিষয়টির মধ্যে ব্যাপকতা থাকায় এটিকে সঙ্গায়িত করা কিছুটা কঠিন। তবে, সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যে পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বা সেবা যদি ব্যাবহার উপযোগী হয় বা উহা ক্রয় করার পর কাস্টোমারের চাহিদা পূরণ হয় বা উদ্দেশ্য সফল হয়, সেটিকেই আমরা কোয়ালিটি বলতে পারি। কোয়ালিটি সম্পকে বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন।
আরোও পড়ুন- কোয়ালিটি কাকে বলে, কত প্রকার
আলোচ্য পোষ্টে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স দ্বারা কি বুঝায়, এটি কিভাবে কাজ করে, এর ধাপসমুহ কি কি এবং কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও কোয়ালিটি কন্ট্রোলের মধ্যে পার্থক্য কি কি – এসব বিষয়ের উপর তথ্য উপস্থাপন করা হবে।
চলুন শুরু করি।
Table of Contents
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কি
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স হল উৎপাদিত পণ্যের ভূল ত্রুটি প্রতিরোধ করার পদ্ধতি এবং পণ্য বা সেবার কোন প্রকার সমস্যা ব্যাতিরেকে তা কাস্টোমারের নিকট পৌঁছে দেওয়া। আই এস ও ৯০০০ এর সঙ্গা মতে এটি হচ্ছে কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের একটি অংশ যার মাধ্যমে পণ্য বা সেবা উৎপাদনের সময় তার কোয়ালিটির শর্তসমুহ পূরণ করা হয়েছে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে।
মুলত: ইহা উৎপাদিত পণ্য ও সেবা সম্পর্কিত একটি পজিটিভ ঘোষণা যা কাস্টোমারের মনে আস্থা তৈরিতে কাজ করে। ঘোষণার বিষয়বস্তু হল- তৈরিকৃত পণ্য বা সেবা ভালভাবে কাজ করবে।
আরোও দেখুন কোয়ালিটি কন্ট্রোল কাকে বলে ও কিভাবে কাজ করে?
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ধাপগুলো কি কি?
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের সুনির্দিষ্ট কতগুলো ধাপ রয়েছে যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোন কম্পানি তার উৎপাদিত পণ্য বা সেবা বাজারজাত করে কাস্টোমারের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। ধাপগুলি নিম্নরুপ-
পরিকল্পনা বা প্ল্যানিং: শুরুতেই কম্পানি যে পণ্য বা সেবা উৎপাদন করতে যাবে তা কিভাবে উৎপাদন করা হবে সে বিষয়ে একটি বাস্তবমুখি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে যাতে উৎপাদিত পণ্যের মান আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডের সাথে মিলে যায়।
পরীক্ষা বা টেষ্টিং: উৎপাদিত পণ্য বা সেবার মান কেমন হল তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এমনকি, যে ব্যাবসায়িক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে তাও পরীক্ষা করে দেখার বিষয়। পরীক্ষাকালীন সময়ে কম্পানির উৎপাদিত পণ্যের গুনগত মান যদি কোয়ালিটির আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হয় তাহলে তার উৎপাদন প্রক্রিয়ার কোথায় ত্রুটি রয়েছে তা চিহ্নিত করে যথাযথ সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহন করবে। তারপর তা বাজারে সরবরাহ করার পদক্ষেপ নিবে। কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার জন্য পরীক্ষার পর উৎপাদিত পণ্য বা সেবার যদি কোথাও পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়, তা করবে।
মনিটরিং: কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স এর ধাপসমুহ নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড সফল ভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে কম্পানি তার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে সমর্থ হয়েছে। এজন্য কম্পানির প্রশিক্ষিত জনবলের একটি গ্রুপ এ কাজের জন্য নির্ধারিত রাখতে হবে যাতে তারা উৎপাদন প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির বিভিন্ন ধাপ সময়ে সময়ে মনিটর করে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
বাস্তবায়ন বা ইমপ্লিমেন্টেশন: কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ডের শর্তসমুহ সফলভাবে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে। যা কম্পানির উৎপাদনশীলতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স কিভাবে করা হয়?
যদিও এক্ষত্রে অনেকগুলো ধাপ রয়েছে, তার মধ্যে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে-
১. প্রতিষ্ঠানের লক্ষ ও উদ্দেশ্য ঠিক করা:
কর্মরত জনবলের জব ডেসক্রিপশন সঠিকভাবে তৈরি করা যাতে তা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ ও উদ্দেশ্য পূরণে সহায়ক হয়। তাদের কম্পানির মিশণ ও ভিশন সম্পর্কেও ধারণা পরিস্কার থাকতে হবে। এজন্য তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
২. কি কি বিষয় সফলতা নিয়ে আসে তা চিহ্নিত করা:
যে সব ফ্যাক্টর বা বিষয় কম্পানির কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সিস্টেমকে সফল করতে পারে তা সনাক্ত করতে হবে। এই ফ্যাক্টরসমুহ হতে পারে একটি পরিকল্পিত উৎপাদন পদ্ধতি, কারিগরি সহায়তা, কাস্টোমার সাপোর্ট, অর্থিক নিরাপত্তা, কম্পানির উপর জনবলের আস্থা ও সন্তুষ্টি, ইত্যাদি। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কি কি ফ্যাক্টর কম্পানির কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে, তার একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। তারপর সে অনুযায়ি কাজ করতে হবে।
৩. আভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক কাস্টোমার চিহ্নিত করা:
কাস্টোমারের একটি প্রধান গ্রুপ তৈরি করা উচিত যার মাধ্যমে বুঝা যাবে, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সিস্টেম সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা। আপনি যদি আপনার কাস্টমারকে জানতে পারেন, তার চাহিদা বুঝতে পারেন তাহলে আপনি তাদের প্রয়োজন পূরণ হতে পারে এমন পণ্য বা সেবা তৈরির পদক্ষেপ গ্রহনে উদ্যোগী হবেন। সচারাচর কাস্টোমারের উদাহরণ, সরবরাহকারি, প্রতিষ্ঠানের কর্মচারি, স্বেচ্ছাসেবক ও সরাসরি টার্গেট কাস্টোমার।
৪. কাস্টোমারের প্রতিক্রিয়া বা ফিডব্যাক:
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের ব্যাপারে কাস্টোমার ফিডব্যাক খুবই গুরত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে কম্পানি তার পণ্য বা সেবার ভাল-মন্দ খুটিনাটি বিষয়াদি জানার সুযোগ পাবে। পরে পন্য বা সেবার গ্রহনযোগ্য মান বজায় রাখার স্বার্থে তা যথাযথ সমাধানের ব্যবস্থা নিবে।
- নিয়মিত সার্ভের মাধ্যমে কাস্টোমার ফিডব্যাক পাওয়া যেতে পারে।
- কোন কাস্টোমার পন্য ক্রয়ের পার তাকে সরাসরি ফোন করে খবর নেওয়া যায়।
- কাস্টোমারের অভিযোগ ও ফেরত পণ্যের তথ্য রিভিউ করে কাস্টোমার সেটিসফেকশণ মনিটর করা যায়।
৫. বিরতিহীনভাবে পণ্য বা সেবার মান উন্নয়ন করা:
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স পণ্য বা সেবার চলমান উন্নয়নের একটি প্রক্রিয়াও বলা হয়ে থাকে। এরা একে অপরের প্রতিশব্দ হিসাবে বিবেচিত হয়। কাস্টোমার ফিডব্যাক বা প্রতিক্রিয়ার ফলাফলসমুহ পর্যালোচনা করে পরবর্তিতে সমস্যার সমাধান ও গুনগত মান আরোও বৃ্দ্ধি করার অবিরামভাবে চলমান থাকে।
৬. কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়্যার:
একটি ভাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের সফ্টওয়্যার নির্বাচন করুন যা শুধুমাত্র যে কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সহায়তা করবে, তা নয়। বরং এই প্রক্রিয়াকে আরোও উন্নতি করতে কাজ করবে।
৭. ফলাফল পরিমাপ করা:
কম্পানির উৎপাদিত পণ্য ও সেবার কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স এর ফলাফল পরিমাপ করে পরবর্তি প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে।
আরোও দেখুন কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কাকে বলে ও কিভাবে কাজ করে।
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও কোয়ালিটি কন্ট্রোলের মধ্যে পার্থক্য
কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স | কোয়ালিটি কন্ট্রোল | |
---|---|---|
সঙ্গা | ইহা এমন এক পদ্ধতি যার মাধ্যমে পণ্য বা সেবার যে কোয়ালিটি চাওয়া হয়েছে তা অর্জন করা হয়েছে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে । | এটি হল কতগুলো কার্যক্রমের সমষ্টি যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পণ্য বা সেবার কোয়ালিটি তার মানদন্ড বা স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ি উৎপাদিত হয়েছে বলে প্রতিপাদন করে। |
ফোকাস | যে পদ্ধতির মাধ্যমে পণ্য বা সেবা তৈরি করা হয়েছে তা ফোকাস করা হয় ও এর মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বা সেবার ভূল-ত্রুটি প্রতিরোধ করা। এজন্য একে proactive process বলা হয়। | ইহা উৎপাদিত পণ্যের ত্রুটি-বিচ্যুতি বের করে ও সংশোধণ করে। এজন্য একে reactive process বলা হয়। |
লক্ষ্য | এর লক্ষ্য হল পণ্য বা সেবা উৎপাদন পদ্ধতি ও তার পরীক্ষা পদ্ধতির উন্নতি সাধন করা যাতে উৎপাদিত পণ্যে কোন প্রকার ত্রুটি দেখা দিতে না পারে। | এর লক্ষ্য হল পণ্য বা সেবা উৎপাদনের পর বাজারে ছাড়ার আগে এই মধ্যবর্তি সময়ের ভিতর উৎপাদিত পণ্য বা সেবার কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে কিনা তা সনাক্ত করা। |
কিভাবে করা হয়? | এখানে ভাল মানের একটি কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং এর মুল্যায়ন পদ্ধতিও তৈরি করা হয়। যা সময়ে সময়ে অডিট করা হয়। | পণ্য বা সেবার মানের উপর কোন সমস্যা দেখা দিলে তার উৎস খুঁজে বের করে সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় যাতে কাস্টোমারের চাহিদা ভালভাবে পূরণ করা যায়। |
কি করা হয়? | পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক কার্যক্রম ও ডকুমেন্টেশনের আওতায় পণ্য বা সেবার কোয়ালিটি বিষয়ক সমস্যা প্রতিরোধ করা হয়। | পণ্য বা সেবার গুনগত মান ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম ও কৌশল প্রয়োগ করা হয়। |
দায়বদ্ধতা | পণ্য বা সেবা উৎপাদনে নিয়োজিত প্রত্যেকের এর দায়ভার বহন করবে। | উৎপাদিত পণ্য বা সেবার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরীক্ষা করার জন্য কম্পানির পক্ষে বিশেষ এক team থাকে যার সদস্যগণ এর দায়ভার বহন করে। |
উদাহারণ | Verification পদ্ধতি QA কার্যক্রমের একটি উদাহারণ। | Validaation পদ্ধতি QC কার্যক্রমের একটি উদাহারণ। |
টুল | এটি হল একটি ম্যানেজারিয়াল টুল। | ইহা হল corrective টুল। |
অরিয়েন্টেশন | ইহা প্রসেস অরিয়েন্টেড হয়। | ইহা প্রোডাক্ট অরিয়েন্টেড হয়। |
Hello, i believe that i saw you visited my site so i came to go back theprefer?.I’m attempting to
to find issues to
improve my website!I guess its adequate to make
use of some of your ideas!!