Last updated on May 9th, 2023 at 12:19 pm
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা সম্পর্কে নতুন করে বলার নেই। সকল পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞগণ এই বিষয়ে একমত যে, এই তেলের নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে।
আমরা প্রতিনিয়ত যে সব ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে অভ্যস্ত – সেগুলো স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কতটুকু সহায়ক তা নিয়ে দ্বিমত আছে। কিন্তু অলিভ অয়েলে এমন ধরণের ফ্যাট থাকে যা আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্যতো বটেই, বরং ইহা হার্টের জন্যও বেশ উপকারি।
অলিভ অয়েল তেল কি, কয় ধরণের হয়, কিভাবে খেতে হয় – ইত্যাদি বিষয়ে অপর এক পোষ্টে বিসদ আলোচনা হয়েছে। চাইলে লিংকে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন।
আলোচ্য পোষ্টে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা নিয়ে ১২ টি দিক তুলে ধরা হবে।
চলুন – শুরু করি।
Table of Contents
অয়েল তেলের উপকারিতা
অলিভ অয়েল তেলে বিদ্যমান প্রাকৃতিক উপাদানসমুহের কাজ জানা গেলে অলিভ ওয়েল তেলের উপকারিতা সহজে বুঝা যাবে। নিচে এর ১২ টি উপকারিতা এক এক করে উল্লেখ করা হল-
প্রচুর পরিমানে এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে
প্রকৃতিগতভাবে কোন রকম তাপ ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ব্যাতিরেকে অলিভ ফল থেকে তেল উৎপাদন করা গেলে এর মধ্যে বিরাজমান এন্টি অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান তার কার্যকারিতা অক্ষত রাখতে পারে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে ৩০ ধরণের ফেনোলিক কম্পাউন্ড থাকে যা শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্টের ভূমিকা পালন করে। আরা, এন্টি অক্সিডেন্ট আপনার দেহকে ফ্রি র্যাডিক্যালস ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফ্রি র্যাডিকল এমন ধরণের মলিকুলস যার প্রভাবের ফলে আপনি ধীরে ধীরে বয়স্ক হয়ে যান, আপনার দেহের কোষসমুহের ক্ষতি সাধন হয় ও নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।
অলিভ ওয়েল তেলে উপস্থিত বড় অংশের এই এন্টি অক্সিডেন্ট দেহে প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে, অক্সিডেশন বা জারণ কাজের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্তের কোলেস্টেরলকে সুরক্ষা করে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া, বিভিন্ন প্রকার জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে ফেলে।
দেহের প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন দমনে
শরীরে দীর্ঘ মেয়াদি প্রদাহ থাকলে তা এক পর্যায়ে ক্যানসার, হৃদরোগ, বিপাকীয় রোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি বিভিন্ন রোগের জন্ম দিতে পারে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেল খেয়ে আপনি দেহের অভ্যন্তরস্থ এসব প্রদাহ কমিয়ে আনতে পারেন। যা অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা বিষয়ের একটি প্রধান দিক।
অলিভ অয়েল তেলের এন্টিইনফ্লামেটরি প্রভাব শুরু হয় এর ভিতরে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট দিয়ে।
Oleocanthal নামে এখানে এক ফেনোলিক যৌগ থাকে। এই যৌগটিই অলিভ অয়েল তেলের এন্টি ইনফ্লামেটরি গুনাগুনের জন্য মুলত: দায়ি। এর কার্যকারিতা ibuprofen এর মত। Ibuprofen একটি এন্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগ হিসাবে বাজারে পরিচিত।
এছাড়া, oleic acid নামের উপাদান যা অলিভ অয়েলের প্রধান ফ্যাটি এসিড, এটিও ইনফ্লামেশন দমনে ভূমিকা রাখে।
আপনার শরীরের কোথাও ব্যথা হলে বা জ্বর হলে এই তেল খেয়ে আপনি পরীক্ষা করতে পারেন যে আপনার জ্বর বা ব্যথা কমে যায় কিনা।
এক কথায় বলা যায়, অলিভ ওয়েল তেলে এমন কিছু উপাদান থাকে যারা দেহের যে কোন প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে।
স্বাস্থ্যকর মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিডে খুব সমৃদ্ধ
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলে ১৪% সম্পৃক্ত বা স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড থাকে। ১১% থাকে আন স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড যার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ওমেগা-৬ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।
তবে, যে ফ্যাটি এসিড সবচেয়ে অধিক পরিমানে বিদ্যমান তার নাম oleic এসিড। এটি মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড। এর পরিমান অলিভ ওয়েল তেলের প্রায় ৭৩%। অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা বিষয়ে এটি উল্লেখযোগ্য।
সাম্প্রতিক সময়ের এক গবেষণায়, দেহের যে কোন রকম ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ কমাতে oleic এসিডের কার্যকারিতা রয়েছে বলে প্রমান পাওয়া যায়। বিশেষ করে স্তন ক্যানসারের সাথে যোগসুত্র আছে এমন জিনের উপরেও এর ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
যেহেতু, মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড উচ্চ তাপেও সহনশীল, তাই আপনি রান্নার কাজে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ ওয়েল তেল বেছে নিতে পারেন। যার smoke point হল ৩৭৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট।
অধিকন্তু, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং রক্তের সুগার লেভেল ইত্যাদির বিরুদ্ধে অলিভ ওয়েল তেলে বিদ্যমান মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড কাজ করে। অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতার মধ্যে এটি অন্যতম।
স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমায়
মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে গোলমাল হলে স্ট্রোকের সূচনা ঘটে। রক্ত সঞ্চালনের এই ঝামেলা রক্তক্ষরণ বা রক্ত জমাট বাধার ফলে হতে পারে। হার্ট এটাকের পর এটি বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত। এমনকি উন্নত দেশের মানুষেরাও এর কবল থেকে মুক্ত নয়।
অনেক গবেষণা থেকে জানা যায়, খাদ্যের সাথে অলিভ অয়েল তেলের ব্যবহার আপনার স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। এর পিছনে কারণ হল, অলিভ অয়েল তেলের এক বড় অংশ মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট দিয়ে তৈরি যা হৃদযন্ত্রকে স্বাস্থ্যবান ও কর্মক্ষম রাখতে খুবই কার্যকর। মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হিসাবে পরীক্ষিত, যা বিশেষজ্ঞ মহল কর্তৃক স্বীকৃত।
এই ধরণের ফ্যাট নিয়মিত খেলে আপনার অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হওয়ার প্রবনতা কমে যাবে। এর সাথে, অন্যান্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ আপনার স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়
হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যবরণ করা একটি সাধারণ ঘটনার মত। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মানুষ এভাবে মারা যায়। হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব লক্ষণীয়। বিষয়টি আমরা প্রায়ই ভুলে যাই।
যাহোক, অনেক গবেষণালব্ধ ফলাফলে দেখা যায়, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মানুষের হৃদরোগে কবলিত হওয়ার সংখ্যা তুলনামুলক কম যা অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা হিসাবে গণ্য। কারণ হল, তারা নিয়মিত পরিমিত মাত্রা অলিভ অেয়েল তেল খেতে অভ্যস্ত।
এটি তাদের অনেকটা রুটিন ডায়েটের মত। বিষয়টি এমনভাবে বলার সুযোগ নেই যে, হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা দিতে একমাত্র অলিভ তেলই দায়ী। তবে, এতটুকু বলার যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে যে, এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা বিবেচনায় এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা রক্তনালী সরু হয়ে যাওয়া (atherosclerosis) এবং উচ্চ রক্তচাপ থেকে আপনাকে সহায়তা করে।
গবেষণায় দেখা যায়, যে সব মানুষ ভাল মান সম্পন্ন অলিভ অয়েল তেল খায় এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার খায়, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কম।
উপরন্তু, এই তেল উপকারি কোলেস্টেরলকে (এলডিএল) অক্সিডেশন হওয়া থেকে নিরাপদে রাখে, রক্তনালী সচল রাখে, রক্ত জমাট বাধার প্রবনতা কমায়। তবে, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পিছনে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরত্বপূর্ণ।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমায়
ইনসুলিনের কার্যকারিতা এবং রক্তে সুগার লেভেল কমাতে অলিভ অয়েল তেলের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। এভাবে ইহা টাইপ-২ ডায়াবেটিস কমাতে সহায়তা করে।
এর একটি উপাদান ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে গ্লুকোজ মেটাবলিজমে সাহায্য করে ।
আপনি যদি এর সাথে কম চর্বিযুক্ত খাবার খেতে পারেন, তাহলে আপনার টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।
দেহের হাড় গঠনে সহায়তা করে
এই তেল পলিফেনল জাতিয় উপাদানে সমৃদ্ধ যা দেহের হাড় এর ক্ষয়রোধ এবং বয়স্ক হওয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। হাড়ে ক্যালসিয়ামের ভেঙে যাওয়া বা অপচয় রোধ করে। আর এটি, হাড়ের গঠন ও উন্নয়ন সাধনের জন্য অপরিহার্য।
তাই, যারা অলিভ অয়েল তেল খেয়ে অভ্যস্ত তাদের সহজেই হাড় ভেঙে যেতে দেখা যায় না। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের বেলায়।
দৈহিক ওজন নিয়ন্ত্রনে কাজ করে
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা হিসাবে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণেও এটি ব্যবহার করতে পারেন।
কিছু কিছু মানুষের ধারণা, অলিভ অয়েল তেল খেলে দৈহিক ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে।
কয়েকটি গবেষণায় প্রমান পাওয়া যায়, যারা খাদ্যের সাথে অলিভ ওয়েল খায় তাদের দৈহিক ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কাজেই, এ থেকে পরিস্কার হয় যে, এই তেল দেহের ওজন কমাতে সহায়তা করে।
আপনি অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করা খাদ্য খেতে পারেন বা এটি সালাডের মাধ্যমেও সরাসরি খেতে পারেন। উভয়ভাবেই আপনি উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়।
সুনির্দিষ্টি কিছু ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে
অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা এর মধ্যে এটিও একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয়। সারা বিশ্বের মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম প্রধান কারণ হল ক্যানসার। এই ক্ষেত্রে, আপনার খাদ্য একটি ভাল ভূমিকা রাখতে পারে। আপনার খাবার আপনাকে ক্যানসারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে, আবার ঝুঁকি কমাতেও পারে। তাই, খাদ্য নির্বাচনে আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
যাহোক, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মানুষেরা যেহেতু অধিক পরিমানে নিয়মিত অলিভ অয়েল খেয়ে অভ্যস্ত তাই তাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কম বলে বিভিন্ন গবেষণায় ধরা পরেছে। Breast ক্যানসার এবং পরিপাকতন্ত্রে ক্যানসার হওয়ার হার তাদের মাঝে খুব কম পরিলক্ষিত হয়।
অলিভ অয়েল তেলে oleocanthal নামের উপাদানের উপস্থিতির ফলে ফ্রি রেডিক্যালস এর প্রভাবে তাদের অক্সিডেটিভ প্রক্রিয়ায় দেহের কোষ কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় বলে বিশেষজ্ঞমহল মনে করে।
এছাড়াও, বিষয়টি আরোও অনেক গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে। কাজেই, আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় এই তেল অন্তর্ভূক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।
এন্টিব্যাক্টেরিয়াল গুনাগুন ধারণ করে
বন্ধুগণ, অলিভ অয়েত তেলের উপকারিতা নিয়ে আমরা আলোচনার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছি। অয়েলের কিছু উপাদান দেহের ভিতর ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার বংশ বৃদ্ধি কমাতে এমনকি তাদের ধংস করতে কাজ করে। যেমন, Helicobacter Pylori নামের ব্যক্টেরিয়া যা পাকস্থলিতে আলসার ও ক্যানসার তৈরির জন্য দায়ী, আপনি নিয়মিত এই তেল খেয়ে সহজেই এটিকে দমিয়ে রাখতে পারেন।
যেসব ব্যক্টেরিয়া বাজারে প্রচলিত এন্টিবায়োটিকের উপর রেজিস্টেন্ট, তাদের বিরুদ্ধে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে আপনি ফল পেতে পারেন।
বিভিন্ন তথ্যমতে, আপনি দৈনিক ৪০ মিলি লিটার অলিভ অয়েল খেয়ে দেহের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া থেকে নিরাপদে থাকতে পারেন।
Alzheimer’s এবং arthritis রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে
Alzheimer’s রোগ এমন এক রোগ যার ফলে মানুষের মস্তিষ্কের কোষে এক ধরণের plaque বা স্তর জমা হওয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করে মস্তিষ্ক কোষে এমন স্তর জমা হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পায়।
Rheumatoid arthritis এক প্রকার autoimmune রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে দেহের জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিতে প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং খুব ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়া, এটি autoimmune রোগ হওয়ার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরের স্বাভাবিক কোষগুলোকেও বহি:শত্রু মনে করে আক্রমন করে ধংস করার প্রয়াস চালিয়ে যায়।
অলিভ অয়েল তেল অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর ফলে আপনার অস্থিসন্ধির প্রদাহ দুর করতে ভূমিকা রাখে।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা বিষয়ে উপস্থাপিত তথ্যসমুহ দরকারি মনে হলে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন – পরবর্তি পোষ্টের নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য।