Last updated on May 11th, 2023 at 12:52 pm
ব্লগ কি, কেন প্রয়োজন – এসব নিয়ে আজকের বিস্তারিত আলোচনা। ব্লগ শব্দটি বর্তমান সময়ের খুব পরিচিত এক নাম। যে ব্লগ করে তাকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগার সম্পর্কে আমাদের ধর্মিয় সমাজে এক নেতিবাচক বিষয় কাজ করত। না জানি তারা নাস্তিকতায় বিশ্বাসী। আসলে, ব্লগ বা ব্লগার বলতে সেরকম কিছু বুঝায় না। যদি কেউ তেমন কিছু বুঝে থাকে তাহলে নি:সন্দেহে এটি তার অজ্ঞতা।
প্রথম দিকে মানুষ তাদের কোন গল্প বা কোন আইডিয়া ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে এটি ব্যবহৃত হত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে, এর সাথে সাথে এটি যে কোন ব্যবসার অনলাইন মার্কেটিং এর একটি প্রধান ও ফলপ্রসু হাতিয়ার হিসাবে সফলতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে যাচ্ছে।
যেমন ধরুন, আপনি রাতের স্বাস্থ্যকর খাবারের রেসিপি পাওয়ার জন্য গুগলে “স্বাস্থকর রাতের খাবার” লিখে সার্চ দিলেন। সার্চ রেজাল্টে প্রাপ্ত ফলাফলের মধ্যে যে সাইটে প্রবেশ করবেন সেটি হবে কোন না কোন ব্লগ সাইট।
আবার হতে পারে, আপনি এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) স্ট্র্যাটেজি জানার জন্য কোন অনলাইন থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বাস্তবিক অর্থে, আপনি যদি সেভাবে কিছু করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনি কোন ব্লগে প্রবেশ করেছেন।
আপনার যদি কোন ব্যবসায়িক সাইট থাকে যেখানে কোন ব্লগ এখনো তৈরি করেন নি, তাহলে একটি ব্লগ খুলার বিষয়ে আপনার ভাবার সময় এসেছে। ২০১৫ সালের বিজিনেস ব্লগিং এর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ব্যবসায়িদের মধ্যে যারা ব্লগ ব্যবহার করে তাদের ৬৭% বেশী বিক্রয়ের সুযোগ তৈরি হয় তাদের তুলনায় যারা ব্লগ ব্যবহার করে না।
এছাড়া, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বিশ্বের সেরা অনলাইন তথ্য ভান্ডারসমুহরে মধ্যে ব্লগের অবস্থান পঞ্চম পর্যায়ে।
ব্লগের প্রধান বুনিয়াদি বা মৌলিক কাজ হল, এর মাধ্যমে অনলাইন জগতে আপনার উপস্থিতি তৈরি হবে। যে কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকলে তা সুন্দর লেখনীর মাধ্যমে একজন এক্সপার্ট হিসাবে আপনাকে অডিয়েন্সের মাঝে ফুটিয়ে তুলবে।
এর দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পেজ তাদের বিচরণের ক্ষেত্র হিসাবে পর্যবসিত হবে। আপনার অনলাইন ব্যবসা থাকলে সেখানে ভিজিটর আসার সুযোগ হবে। যাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় লীড জেনারেশন বলে।
যদি আপনার ব্লগিং এর বিষয়ে চিন্তা বা ইচ্ছা থেকে থাকে তাহলে পড়তে থাকুন। আলোচ্য পোষ্টে ব্লগ কি, কেন এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে – এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
Table of Contents
ব্লগ কি?
ব্লগ কি সেটি বলার আগে চলুন প্রথমেই ১৯৯৪ সালে এর সংক্ষিপ্ত এক ইতিহাসের দিকে তাকাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের Swarthmore College -এ Justin Hall নামে এক ছাত্র ছিল। তাকে সর্বপ্রথম ব্লগ তৈরির জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়। ব্লগটির নাম ছিল Links.net. তবে, সেই সময় এটিকে ব্লগ হিসাবে ধরা হয়নি। কারণ, তখন এটি ছিল সাধারণ একটি personal homepage.
১৯৯৭ সালে, Jorn Barger, যিনি Robot Wisdom এর ব্লগার ছিলেন, তিনি “weblog” নামে একটি টার্মের আবির্ভাব করেন। যার দ্বারা তিনি “logging the web” পদ্ধতি বুঝাতে চেয়েছিলেন। যেহেতু তিনি ইন্টারনেট ব্রাউজ করতেন।
পরবর্তিতে, ১৯৯৯ সালে Peter Merholz নামে একজন প্রোগ্রামার এই “weblog” টার্মটি সংক্ষিপ্ত করে “blog” হিসাবে নামকরণ করেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে, ব্লগ ছিল একটি ব্যক্তিগত web log বা জার্নাল যেখানে বিভিন্ন টপিকস এর উপর কেউ কেউ তথ্য বা তার মতামত তুলে ধরত। তথ্যগুলো সেখানে বিপরীত কালক্রমে সাজানো হত। ফলে, সবচেয়ে নতুন যে পোষ্ট করা হত তা সর্বপ্রথম দেখা যেত।
চলুন দেখি অভিধান কি বলে-
বন্ধুরা, আশা করছি এখন ব্লগ সম্পর্কে আপনাদের ধারণা অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গেছে।
তাহলে, ব্লগ বলতে ঐ ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে বুঝায় যা নিয়মিত আপডেট করা হয়। আর এটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য হতে পারে অথবা হতে পারে কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য সাধনে।
ব্লগিং কাকে বলে?
ব্লগিং হল কতগুলো দক্ষতার সমষ্টি যা কোন ব্লগ চালানোর জন্য মানুষের প্রয়োজন হয়। এখানে Content Management System (CMS) নামের tool ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কোন কনটেন্ট লিখে তা অডিয়েন্সের মাঝে পোষ্ট করতে বা শেয়ার করতে পারেন।
যেহেতু ব্লগ কি বা কাকে বলে সে বিষয়ে উপরে আলোচনা হয়েছে। কাজেই, আরোও সহজে যদি বলি, তাহলে বলতে হয় – ব্লগ করা প্রক্রিয়াকে ব্লগিং বলে।
ব্লগার কাকে বলে?
সাম্প্রতিক সময়ে গোটা বিশ্বে ব্লগিং বিষয়টি খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ, এর রয়েছে অনেক সুবিধা। সেই সুবাদে, ব্লগার শব্দটিও আমাদের নিকট বেশ পরিচিত। কোন কোন বিখ্যাত ব্লগার বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে ও সমাদৃত হয়েছে।
এটি দেখে নতুনরাও ব্লগার হওয়ার জন্য অগ্রসর হচ্ছে।
তাহলে, ব্লগার কাকে বলে বা কাকে ব্লগার বলা যাবে? ব্লগার হল এমন কোন ব্যক্তি যিনি ব্লগিং পদ্ধতি অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত ধারণা, চিন্তা ভাবনা বা তথ্য অনলাইন কমিউনিটির নিকট পৌঁছে দিতে ভালবাসে। তার পোষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর হতে পারে, যেমন- ডিজাইন, আর্টস, ফিন্যান্স, শারীরিক সুস্থতা ইত্যাদি।
ব্লগারগন ভ্রাম্মমান থাকে। তারা এক জায়গায় বসে থাকে না। তারা নেট জগতে বসবাস করে।
ব্লগ পোষ্ট কাকে বলে?
কোন ব্লগ সাইটে নতুন কনটেন্ট লিখে পাবলিশ করাকে ব্লগ পোষ্ট বলে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্মের নাম হল ওয়ার্ডপ্রেস। সেখানকার এডমিন প্যানেল বা ড্যাশবোর্ডে ঢুকে বাম পাশের ভার্টিকাল মেনুর প্রথম দিকে আপনি পোষ্ট নামের একটি লিংক পেয়ে যাবেন। সেই লিংকে মাউস পয়েন্টার রাখলে ডানদিকে add new নামের একটি অপশন পাওয়া যায়। এই add new লিংকে ক্লিক করে নতুন কোন ব্লগ পোষ্ট তৈরি করা যায়।
ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য কি?
কোনটি ওয়েবসাইট আর কোনটি ব্লগ – বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকসময় তালগোল পাকিয়ে ফেলি। চলুন – এবার এটি পরিস্কার করার চেষ্টা করি।
ব্লগের সঙ্গায় উল্লেখ রয়েছে – এটিকে নিয়মিত আপডেট করতে হয়। সময়ে সময়ে নতুন নতুন পোষ্ট নিয়ে অডিয়েন্সের মাঝে হাজির হতে হয়। কিন্তু ওয়েবসাইটের বেলায় তা হয়না। ওয়েবসাইটের পেজগুলোকে স্টেটিক পেজ বলা হয়। বিশেষ প্রয়োজনে যদি বিদ্যমান কোন পেজ সংশোধন করতে হয়, তখনই এটি আপডেট হয়।
যেমন- ওয়েবসাইটে পেজসমুহের মাঝে About Us, Contact Us বা Service নামে কয়েকটি পেজ থাকতে পারে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই সব পোষ্ট নিয়মিত আপডেটের প্রয়োজন হয়না বা নতুন নতুন এই জাতীয় পেজ তৈরি করারও প্রয়োজন হয় না। বিষয়টি সীমাবদ্ধ আকারে থাকে।
অপরদিকে, ব্লগের বেলায়, আপনার সুনির্দিষ্ট niche ক্যাটারির ভিতর এক টপিক নিয়ে আপনি নিয়মিত ভাবে পোষ্ট দিয়ে যাবেন। আপনার এক একটি পোষ্ট হবে ব্লগ সাইটের এক একটি ওয়েব পেজ এর মত।
এজন্য ব্লগকে বলা হয় ডাইনামিক সাইট যার মাঝে গতিশীলতা থাকে।
এছাড়া, আপনার ব্লগ পোষ্টে পাঠকদের মন্তব্য করার সুযোগ দেওয়া হয়। যার ফলে এটি হয়ে যায় একটি two way communication এর মত।
ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য তৈরির আর একটি মুল উপাদান হল – ব্লগ পোষ্টে সাধারণত: ক্যাটাগরি, পোষ্টের তারিখ, লেখকের নাম ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। কিন্তু ওয়েবসাইটের স্টেটিক পেজ এর ক্ষেত্রে এমন নজির দেখা যায় না।
কোন কোন ওয়েবসাইটের এই অংশ হিসাবে ব্লগ থাকতে পারে। যা নেভিগেশন মেনুতে ব্লগ নামে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সকল ওয়েবসাইটে তা থাকে না। যে সব ওয়েবসাইটে ব্লগ নেই তারা শুধু স্টেটিক সাইট হিসাবে অনলাইন জগতে বিরাজ করে। ওয়েবসাটের গতিশীলতা ব্লগের উপস্থিতির কারণে তৈরি হয়।
যাহোক, উপরের আলোচনা থেকে ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মধ্যে পার্থক্য কিছুটা হলেও পরিস্কার হয়েছে বলে আশা করছি। এরপরও, যদি আরোও কিছু জানার থাকে, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে প্রশ্ন করার অনুরোধ করছি।
আপনার একটি ব্লগ থাকা কেন প্রয়োজন?
নিম্নলিখিত কাজে ব্লগ অসাধারণ ভূমিকা রাখে-
- কম্পানি ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করাতে।
- সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্য প্রদানের কাজে যা এক সময় এক্সপার্ট হিসাবে পরিচিতি দেয়।
- ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনার কাজে যারা হয়ে যায় ভবিষ্যৎ কাস্টোমার।
- অনলাইন কমিউনিটির সাথে থেকে অডিয়েন্সকে এনগেজ রাখা যায়।
১. ব্যবসার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করাতে
আদর্শিকভাবে, একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তার ওয়েবসাইটে ব্লগ ব্যবহার করে। যা তার ব্যবসা সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং করাতে সহায়তা করে। এর জন্য নিশ্চয়ই আপনাকে SEO কৌশল প্রয়োগ করতে হবে অথবা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর আওতায় কোন paid ads ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে, কোন ভিজিটর আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত কোন কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ দিলে আপনার ব্যবসায়িক সাইটটি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজেই প্রদর্শিত হতে পারে। কিন্তু, দীর্ঘ মেয়াদের জন এর সবচেয়ে ভাল পন্হা হল ব্লগিং।
একটি ব্লগের মাধ্যমে আপনার কম্পানি সাইট কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করতে পারে – চলুন তার একটি উদাহারণ দেখে নেই। ধরে নেই, আপনি নতুনভাবে ওয়েব ডিজাইনের উপর একটি ব্যবসা শুরু করেছেন, কিন্ত তার অনলাইন উপস্থিতি খুব কম।
এজন্য, আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, প্রথম বছর ওয়েব ডিজাইনের সাথে সম্পর্কিত যাবতীয় টপিকস এর উপর আপনি ব্লগ কনটেন্ট লিখে তা নিয়মিত পোষ্ট করে যাবেন। সময়ে পথ পরিক্রমায় দেখা যাবে, আপনার ট্রাফিক বেড়ে যাচ্ছে এবং অন্যান্য কম্পানি ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে তথ্যের উৎস হিসাবে আপনার সাইটের সাথে লিংক করছে।
এটি যখন চলতে থাকবে, গুগল এলগরিদম তা ধরে ফেলবে এবং বুঝে নিবে যে আপনার সাইট ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কিত তথ্যের একটি নির্ভরযোগ্য জায়গা। অবশেষে ‘web design’, ‘website builder’ বা ‘e-commerce website’ লিখে কেউ সার্চ দিলে গুগল আপনার সাইটকে প্রথম পেজ -এ র্যাংক করাবে। যা ধারাবহিক চেষ্টার ফসল হিসাবে আপনার জন্য হয়ে যাবে এক বড়-সর পুরস্কার।
২. সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্য প্রদানের কাজে যা এক সময় এক্সপার্ট হিসাবে পরিচিতি দেয়:
Matt Kepnes নামে Boston এর একজন স্থানীয় অধিবাসি ২০০৬ সালে তার চাকরি ছেড়ে দেয় এবং বিশ্ব ভ্রমনের কাজে লেগে যায়। সে ভ্রমনের অভিজ্ঞতা তার ব্লগে প্রকাশ করতে থাকে। তার বিরতিহীন চেষ্টার ফসল হিসাবে এক বছরের মাথায় তার ব্লগ গুগলে র্যাংক করে এবং ৬০,০০০ ডলার আয় করে।
কাজেই, বন্ধুগন আপনি যদি একজন এক্সপার্ট হিসাবে পরিচিতি পেতে চান সুনির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর যার উপর আপনার আগ্রহ রয়েছে, তাহলে আপনিও ব্লগিং শুরু করে দিতে পারেন।
তিনি অবশ্য ই-বুক, স্পনসরশীপ এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথেও জড়িত। পাশাপাশি, তিনি নিউইয়র্ক টাইমস – এ লিখেন। তার একটি বিখ্যাত লেখা – “How to Travel the World on $50 a day.”
বর্তমানে তার ব্লগে প্রতি মাসে ভিজিটরের সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ এবং বাৎসরিক আয় ৭৫০০০০ মার্কিন ডলার।
৩. সাইটে ভিজিটর আকর্ষণ করা যারা হতে পারে ভবিষ্যৎ কাস্টমার:
আপনার সাইটের ব্যবসায়িক পেজ –এ হোম পেজ বা এবাউট আস পেজ থেকে অনেক ট্রাফিক পেতে পারেন। এই পেজগুলো লিড জেনারেশনের জন্য খুব গুরত্বপূর্ণ যারা ইতোমধ্যে আপনার প্রোডাক্টস সম্পর্কে জেনে গেছে। কিন্তু ঐ হোমপেজ বা এবাউট আস পেজগুলো ফানেলের উপরিভাগ থেকে ট্রাফিক আনতে পারে না। আর এই অভাব পূরণের কাজেই ব্লগ সফলভঅবে তার ভূমিকা পালন করতে পারে।
আপনার ব্লগ হতে পারে একটি সাধারণ তথ্য ভান্ডার যা ভিজিটরদের প্রাসঙ্গিক তথ্য সরবরাহে সহায়তা করবে। যদিও তারা আগে থেকেই আপনার প্রোডাক্টস কেনার জন্য প্রস্তুত থাকে।
যেমন, ধরে নেই, আপনি ই-কমার্স স্টোরের প্রোডাক্টস বিক্রয় করেন। এর জন্য আপনার টার্গেট অডিয়েন্স হল সব ই-কমার্স সাইটের মালিক। হতে পারে, ই-কমার্স মালিকদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে আপনার পণ্যটির মত কোন পণ্য অনলাইনে খুজে পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে এবং ধরে নিলাম খুজতে খুজতে তারা আপনার প্রোডাক্ট পেজ –এর সন্ধান পেয়ে গেল এবং তাতে প্রবেশও করল।
কিন্ত, অধিকাংশ ক্ষেত্রে, তারা পণ্য কেনার জন্য সিদ্ধান্তহীনতার কারণে পণ্যটি কেনার জন্য প্রস্তুত হতে পারে না। ফলে আপনার প্রবেশ করা সত্তেও প্রবেশদ্বার থেকে তারা বের হয়ে যায়।
অপরদিকে, যদি আপনি ব্লগিং শুরু করেন এবং সেখানে যদি, ই-কমার্স মালিকদের উপকার হয় এমন কিছু পোষ্ট দিতে পারেন , যেমন- ‘একটি রিটেইল ওয়েবসাই কিভাবে শুরু করা যায়’ বা ‘ফিজিক্যাল স্টোরের তুলনায় ই-কমার্স স্টোরের সুবিধা কি কি’ – এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে আপনি অডিয়েন্সের মনের ভিতর একটি জায়গা তৈরি করতে পারবেন। আপনার কনটেন্ট যদি তার কাছে উপকারি মনে হয় তাহলে সে আপনার উপরে কিছুটা হলেও আস্থা রাখতে পারবে।
তারপর, আপনার ব্লগ আর্টিকেল পড়ে তারা যখন আপনার পণ্যটি কিনে উপকৃত হবে এবং তাদের ব্যবসাও বড় হতে থাকবে তখন এক পর্যায়ে আপনার প্রোডাক্টস একটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে। এবার আর পিছনে তাকানো লাগবেনা। শুধু সামনের দিকে ধাবমান থাকবেন।
৪. অনলাইন কমিউনিটি চর্চা করা:
আপনি হয়ত অনলাইন কমিউনিটির সাথে এনগেজ থাকার জন্য ব্লগ তৈরি করেছেন যাদের আপনার ইচ্ছা বা আগ্রহ আপনার মত। যেমন, আপনি খাদ্যের একটি ব্লগ শুরু করলেন এবং পাঠকদের বললেন, “তোমরা তোমাদের বানানো রেসিপি শেয়ার কর”।
অন্যভাবে, আপনি এমন এক ব্লগ তৈরি করলেন যা DIY project নিয়ে কাজ করে। আপনি এমন এক প্রোজেক্টের উপর পাঠকদের বললেন, তোমরা প্রত্যেকে এর উপর নিজ নিজ মন্তব্য প্রদান কর।
এভাবেই, আপনি অনলাইন কমিউনিটিকে নিজের সাথে এনগেজ রাখতে পারবেন এবং তাদের নিয়ে চর্চা করতে পারবেন।