Last updated on May 9th, 2023 at 05:33 pm

গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় নিয়ে কি আপনি চিন্তিত? হ্যা, আপনার বয়স যদি চল্লিশ পার হয়ে থাকে তাহলে আপনি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

হঠাৎ করে পেটে ব্যথা, বুকে জ্বালাপোড়া। পানি কম খাওয়া হলে কিংবা ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার পরে শরীরে অস্বস্তি , এই সমস্যাগুলো বেশ সাধারণ। সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যারা ভোগেন তাদের এই সমস্যাগুলো বেশি প্রকটভাবে দেখা দেয়। এই বিষয়টি যে কতখানি অস্বস্তিকর এটি যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যারা ভোগেন তারা ভালোই জানেন। তবে গ্যাস্ট্রিক কিন্তু  কোনো রোগ নয়।

গ্যাস্ট্রিক নামের ইংরেজি কথাটি অর্থ পাকস্থলী সাথে সম্পর্কিত। পাকস্থলী স্বাভাবিক কার্যক্রমের কোন ব্যত্যয় ঘটাকে আমরা গ্যাস্ট্রিক বলে থাকি। তবে, এই পাকস্থলীর এই সমস্যাটি এসিডের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। পাকস্থলীর গুরত্বপূর্ণ দু’টি কাজ হল এসিড এবং এনজাইম নিঃসরণ করা। এই এসিড যখন পাকস্থলীর আবরণকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তখন এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা তৈরি হয়।

যাহোক, এই পোষ্টে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় সহ  গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্য তুলে ধরা হবে।

গ্যাস্ট্রিক কী?

এটা সাধারণত কিছু বদভ্যাসের কারণে হওয়া শারীরীক সমস্যা। এটি কখনো কখনো অন্য যেকোনো রোগের চেয়ে খারাপ আকার ধারণ করে থাকে। বৈজ্ঞানিকভাবে যাকে গ্যাস্ট্রিক বলা হয় এটি মূলত পেপটিক আলসার ডিজিজ বা পিইউডি।

মূলতঃ পাকস্থলী, ডিওডেনাম ও ইসোফেগাস- এই তিনটি স্থানে এসিডের কারণে যদি ক্ষতের সৃষ্টি হয় তবে তাকে পেপটিক আলসার ডিজিজ আছে, যা গ্যাস্ট্রিক নামেও পরিচিত। অর্থাৎ কারো গ্যাস্ট্রিক আছে এর অর্থ তাঁর উপর্যোক্ত তিনিটি অঙ্গে ক্ষত আছে।

চিকিৎসকদের মতে গ্যাস্ট্রিক আসলে কোনো রোগ নয়। বরং পেটের যেকোনো সমস্যা হলেই অধিকাংশ সাধারণ মানুষ গ্যাস্ট্রিক বলে ধরে নেয়। তবে আরো দুটি সমস্যা আছে যেগুলোকেও মানুষ গ্যাস্ট্রাইটিস বা গ্যাস্ট্রিক বলে ধরে নেয়। সেদুটি হচ্ছে পেপটিক আলসার এবং নন–আলসার ডিসপেপসিয়া

কি কারণে গ্যাস্ট্রিক হয়?

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই কারণগুলো চিহ্নিত করা গেলে গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় নিয়ে আপনার ভাবনা কমে যেতে পারে।

এটি বয়সভেদে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে এর প্রধান কারণ অনিয়মত খাদ্যাভ্যাস। আমাদের দেশের বেশির ভাগ লোক সকালবেলা খায় না। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এই না খাওয়া, বা খাবারে অনিয়মের বিষয়টি অত্যন্ত প্রকট। রাতে খাবার থেকে দুপুরের খাবারের মাঝখানের সময়টি বেশি হওয়ার কারণেই গ্যাসট্রিকের সমস্যা বেশি হয়।

এ ছাড়া আরো একটি বড় কারণ আছে। সেটি হলো বেশি রাতে খাবার খাওয়া। কাজের সময়সীমা থেকে শুরু করে, আমাদের জীবন-যাপন, এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাসায় আসতে আসতে প্রায় সময় ৮টা-৯টা বেজে যায়। বিশেষ করে ঢাকা শহরে জ্যামের কারণে অনেক সময় এটি আরো বেশি হয়ে যায়।

তাই রাতের খাবার খেতেও দেরি হয়ে যায়। আর দেরিতে খাবার খাওয়ার ফলে আমরা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়ি। এটিও গ্যাসট্রিকের একটি প্রধান কারণ।

নারীদের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার একটি বড় কারণ হলো গলব্লাডারে পাথর। গলব্লাডারে পাথর ছেলেদেরও হয়, তবে নারীর ক্ষেত্রে এর প্রবণতা বেশি। এক্ষেত্রে প্রথমদিকে দেখা যায় একটু বমি বমি ভাব থাকে, খেতে ইচ্ছে করে না, অরুচি হতে পারে। ৪০ বছরের পর নারীরা যখনই আলট্রাসনোগ্রাম করায়, দেখা যায় গলব্লাডারে পাথর আছে অনেক বছর ধরেই।

তবে এগুলোকে ছাড়াও পাকস্থলী আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের জন্য দায়ী হেলিকোব্যক্টর পাইলোরি নামক বিশেষ এক ধরনের জীবাণু, যা মানুষের পাকস্থলীতেই বেড়ে ওঠে এবং পাকস্থলী ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। চিকিৎসক ও গবেষকদের ধারণা “ও” ব্লাডগ্রুপের মানুষ অন্যদের তুলনায় বেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকেন।

সাধারণত বস্তি এলাকা, ঘিঞ্জি, অপরিস্কার ও স্যাতস্যাতে পরিবেশে বসবাসকারী মানুষদের মাঝে এই হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেশি হয়। এটি মূলত মানুষের মুখ ও পায়ুপথের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। এছাড়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া ও ফাস্টফুড বেশি খাওয়া, ধূমপান ও ভেজালযুক্ত খাবারের কারণেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক হয়েছে কিনা বুঝার উপায়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি লোক কোনো না কোনোভাবে গ্যাস্ট্রাইটিসে আক্রান্ত। ঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে এটি অনেক সময় ক্রনিক হয়ে যেতে পারে।  গ্যাস্ট্রাইটিসের অতি সাধারণ কিছু লক্ষণ হচ্ছে-

  • তীব্র, ও মাঝারি ধরনের পেটে ব্যথা
  • বুকে জ্বালাপোড়া
  • ক্ষুধা হ্রাস
  • জিহ্বায় অস্বস্তিকর অনুভূতি ও গন্ধযুক্ত ঢেকুর ওঠা
  • বমি বমি ভাব
  • শরীর কাঁপা
  • ঘন ঘন বায়ু বাতাস হওয়া
  • তীব্র গন্ধ অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি বমি হওয়া
  • দুর্বলতা;
  • মাথা ব্যাথা
  • পেটের ভেতর গড়গড় শব্দ হওয়া
  • শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
  • মাথা ঘোরা
  • ডায়রিয়া
  • ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
  • জিহ্বা উপর উজ্জ্বল আবরণ তৈরি হওয়া;
  • শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়া।

গ্যাস্ট্রিক নির্ণয়ের উপায় কি?

প্রাথমিক অবস্থাতে চিকিৎসক লক্ষণ বুঝেই চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তবে কারও যদি দীর্ঘদিন ধরে লক্ষণগুলো দেখা দিতে থাকে তবে সেক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে।

এক্ষেত্রে প্রথমেই রোগীর পাকস্থলী ও ডিওডেনামে হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি আলসার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে সেটি নিশ্চিত হতে এন্ডোসকোপিক বায়োপসি ও ইউরিয়া ব্রেথটেস্ট করা হয়।

এছাড়া এনডোস্কোপি করে টিস্যু নিয়ে তাতে জীবাণু পাওয়া গেলে কয়েক ধরনের ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকের মিশেল বেশ কিছুদিন ব্যবহার করার পর জীবাণু নির্মূল হয়, তবে আবারও হতে পারে। এই জীবাণু দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিকের বিপরীতে রেসিসট্যান্স তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে। ফলে নির্মূল করা কঠিন।

এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে কোনো টিকা কার্যকর নয়। তাই সতর্কতাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা।

 গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায়

গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় নিয়ে সর্বপ্রথম যা প্রয়োজন তা হল লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা। শুরু থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা আবশ্যক।

গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় সাধারণত ওমিপ্রাজল-জাতীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। এছাড়া মারাত্মক অবস্থায় স্যালাইন বা ইনজেকশনও দেওয়া হয়ে থাকে। তবে বছরের পর বছর ওমিপ্রাজল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যথেষ্টই বিপজ্জনক।

এতে পাকস্থলীর পিএইচ পরিবর্তিত হয়ে যায়, ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা লেগেই থাকে, তবে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

তাছাড়া গ্যাস্ট্রিক এমন একটি রোগ যার জন্য প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ সহজ।

গ্যাস্ট্রাইটিস প্রতিরোধে করনীয় কাজগুলি নিচে আলোচনা করা হলো;

  • নিয়মমাফিক জীবনযাপন করুন। প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় হাঁটাচলা করুন ও ব্যায়াম করুন। এতে পেটে গ্যাস জমবে না।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • ভাজাপোড়া, তেল চর্বি যুক্ত খাবার, ফাস্টফুড বর্জন করুন
  • প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি ও ফলমূল খান।
  • রান্নায় তেল মসলার ব্যবহার কমিয়ে আনুন।
  • মাঝে মাঝে দই অথবা টক দই বা গ্রহণ করুন। এতে আছে প্রোবায়োটিক উপাদান যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও গ্যাস কমিয়ে রাখে।
  • বিভিন্ন খাদ্য উপাদান যেমন শসা, আদা, লবঙ্গ ইত্যাদি খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হয় না।
  • অসময়ে চা-কফি খাওয়ার অভ্যেস বাদ দিন।
  • খাবার কেনার সময় যতটা সম্ভব ভেজাল ও ফর্মালিন মুক্ত খাবার কেনার চেষ্টা করুন।
  • ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
  • নিজেকে প্রফুল্ল ও হাসিখুশি রাখুন।

বন্ধুগন, চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে উপরের নিয়মগুলি গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় হিসাবে ধরে নেওয়া যায়।

গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না?

  • মসলা যুক্ত, ভাজা ও এসিড জাতীয় খাবর পরিহার করুন।
  • ধুমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
  • কম কম করে দিনে ৫-৭ বার খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
  • প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ পরিহার করার চেষ্টা করুন।
  • গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • স্ট্রেস কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন।

গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ কি?

গ্যাস্ট্রিকের জন্য কি কি ঔষধ খাবেন তা নির্ভর করবে আপনার গ্যাস্ট্রিকের অবস্থা কোন পর্যায়ে তার উপর। এজন্য সবচেয়ে উত্তম নিজে নিজে ঔষধ না কিনে চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ ব্যবহার করুন।

এছাড়া গ্যাস্ট্রিকে চিকিৎসা নির্ভর করে কি কারণে গ্যাস্ট্রিক হয়েছে তা সনাক্তের উপর। আপনি যদি সেই কারণকে দুর করতে পারেন তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনি সেরে উঠবেন। এজন্য চিকিৎসকের স্বরণাপন্ন হয়ে কি কারণে আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হয়েছে তা প্রথমে নিশ্চিত করুন।

আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যার পিছনে যদি H. pylori নামের ব্যাক্টিরিয়া দায়ি হয় তাহলে গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় আপনাকে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হবে। একেক জনের এক এক কারণে গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে।

আপনার যদি অনিয়মিত খাওয়ার কারণে হয়ে থাকে তাহলে আপনার খাদ্যাভ্যাস নিয়মের মধ্যে আনতে হবে।

আবার যদি অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের কারণে হয় তাহলে নিচের ঔষধগুলো খেতে পারেন-

  • অমিপ্র্যাজল
  • ল্যানসোপ্র্যাজল
  • ইসোমেপ্র্যাজল

তবে, এসব ঔষধ দীর্ঘ সময় ধরে খেলে বিভিন্ন রকম জটিলতা তৈরি হতে পারে। এর জন্য সবচেয়ে উত্তম হল আপানাকে খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

সারকথা

ছোটো-বড়ো, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেকোনো বয়সের মানুষ যেকোনো সময় গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হতে পারে। খাবারে অনিয়ম, দৈনন্দিন জীবনে অনিয়ম, অতিরিক্ত মশলাদার, মিষ্টি, ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার বরং দুশ্চিন্তা, অলস জীবন যাপন, বিভিন্ন কারণে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রাইটিস হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিকের এসকল অনেক কারণ থাকলেও বাংলাদেশের পরিপেক্ষিতে গ্যাস্ট্রিকের প্রধানতম কারণ হচ্ছে খাবারে অনিয়ম। তবে একটু বুক বা পেট জ্বালাপোড়া করলেই মুঠো ভরে ওষুধ খাওয়া একদমই ঠিক নয়। এতে সাময়িক সমস্যা সমাধান হলেও অন্যান্য শারীরিক ঝুঁকি বেড়ে যায়।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সাধারণ হলেও ঘন ঘন এ সমস্যা দেখা দিলে একদমই অবহেলা করবেন না। কারণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বিভিন্ন ধরনের পেটের ক্যান্সার হতে পারে, এবং সময়তো সঠিক চিকিৎসার অভাবে একসময় লিভার, ফুসফুস এবং হাড়ের মধ্যেও ছড়িয়ে যেতে পারে এই ক্যান্সার। তাই সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।

গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায় নিয়ে শিরোনামের এই পোষ্টে অনেক আলোচনা হল। কেমন লাগল কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

 

Author: Rimana Aktar, BA, Unversity of Dhaka, MS, Jawaharlal Nehru Universityগ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায়