Last updated on February 12th, 2021 at 04:05 am
আরবি শিক্ষা লাভ কেন অপরিহার্য – সে বিষয়ে আজকের আলোচনা।
যেকোন ভাষা শিখাই হল এক প্রকারের দক্ষতা। কাজেই, আরবি শিক্ষা করাও নিঃসন্দেহে একটি দক্ষতার মধ্যেই গণ্য হয়ে। আরবি শিক্ষা লাভ করা বর্তমান বিশ্বে খুব গুরত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। আরবি ভাষা বিশ্বের প্রাচিনতম ভাষার মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান ভাষা। আরবি ভাষা আরব উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে বলে বিশ্বাস করা হয়।
বিশ্বের অন্যন্য ভাষা এমনকি ইংরেজী ভাষার অনেক শব্দও আরবি থেকে ধার করে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন, قطن [ক্বতন], cotton, سكر [সুক্কার], sugar, قيراط [ক্বেরাত], carat ইত্যাদি।
প্রথম প্রথম অন্য ভাষা-ভাষীদের নিকট আরবি শিক্ষা – কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু আরবি ভাষা শিখা আসলে তেমন কঠিন কিছু নয়। নিয়মিতভাবে একটু চেষ্টা করলেই হয়ে যায়।
ইসলাম ধর্মের অনুসারিদের জন্য আরবি শিক্ষা লাভ করা খুবই অপরিহার্য। এছাড়া, পার্থিব জীবনে উন্নতি সাধনের ক্ষেত্রেও আপনার জন্য আরবি শিক্ষা লাভের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক যেসব কারণে আপনার জন্য আরবি শিক্ষা লাভ করা দরকার –
Table of Contents
ধর্মিয় উদ্দেশ্য:
আপনি যদি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন তাহলেতো কোন কথাই নেই। আপনাকে শিখতেই হবে। কেননা আরবি ভাষা শিখা ছাড়া আপনি ধর্মিয় বিধান পালন করতে পারবেন ঠিকিই কিন্তু সেখানে কোন আকর্ষণ বা স্বাদ থাকবেনা।
বিশেষ করে নামাজের সময় যখন কোরআন শরিফ থেকে সুরা পাঠ করা বাধ্যতামুলক তখন এর কোন অর্থ বুঝা যাবেনা। বঙ্গানুবাদ থেকে অর্থ শিখে নিলেও লাইন বাই লাইন তেলোয়াতের সময় হুবুহ মনে রাখা কঠিন বিষয়। তাছাড়া, কোরআন শরীফের আরবি সুরা মুখস্থ করার সাথে সাথে অনুবাদ মুখস্থ করাও একটি বাড়তি কাজ। মনে রাখার বিষয়তো থাকেই।
আর যদি আপনার আরবি ভাষ জানা থাকে, আপনি যদি কষ্ট করে আরবি ব্যাকরণও রপ্ত করতে পারেন তাহলে সুরা মুখস্থের সময় শুধু একটি বাড়তি কাজ করে নিলেই হয়। তা হল, আরবি ভাষার কিছু কমন ভোকাবুলারি বা শব্দার্থ শিখার পর অতিরিক্ত হিসাবে কোরআনিক ভোকাবুলারি শিখে নেওয়া। বিশেষ করে যখন যে সুরা তেলোয়াত করবেন ঐ সুরার আরবি শব্দের অর্থ মুখস্থ করা।
আরবি শিক্ষার এই দক্ষতা অর্জনের পর আপনি যখন নামাজের ভিতর বা নামাজের বাইরে কোরআন তেলোয়াত করবেন তখন অর্থগুলি আপনি সরাসরি বুঝতে পারবেন। এখন আর আলাদাভাবে আপনাকে অনুবাদ শিখার জন্য সময় খরচ করতে হবেনা বা মনে রাখার বাড়তি ঝামেলাও পোহাতে হবেনা।
আরবি ভাষার গুরত্ব:
বিশ্বের ৪০ কোটিরও অধিক মানুষ দৈনন্দিন কাজ কর্মে আরবি ভাষা ব্যবহার করে। ইহা সারা দুনিয়ার ছয়টি সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে একটি। জাতিসঙ্গের ছয়টি অফিসিয়াল ভাষার মধ্যে আরবি ভাষা একটি।
বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে আরবি ভাষা ব্যবহার করা হয়। আরব নিউজে প্রকাশিত একটি গবেষণা লব্ধ ফলাফল থেকে জানা যায় যে সারা বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চল জুরে প্রধান ১২টি ভাষা ব্যবহৃত হয়। এই গবেষণা থেকে আরোও জানা যায়- বিশ্বের ৪৬৭ মিলিয়ন মানুষ আরবিতে কথা বলে।
ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, তানজানিয়া প্রভৃতি দেশের আরোও ১ বিলিয়নেরও অধিক মানুষ আরবিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ব্যবহার করার জন্য শিক্ষা লাভ করে।
আরবি ভাষার চাহিদা:
অর্থনৈতিকভাবে আরব দেশগুলি অবস্থান খুবই শক্তিশালী। এজন্য এই ভাষার ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। আপনি যদি আরব অঞ্চলে কাজের জন্য যেতে চান তাহলে আপনার জন্য আরবি শিক্ষা খুবই জরুরী। এমনকি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি এজেন্সিও দক্ষ আরবি জানা ব্যক্তিদের খোজ করছে।
বিদেশী সংস্কৃতির সাথে পরিচয়ের সুযোগ:
ভাষা হল বিদেশী কোন দেশের সংস্কৃতির সাথে পরিচিতি লাভের জন্য একটি রোডম্যাপ। আপনি যদি একজন ভ্রমন পিপাসু মানুষ হয়ে থাকেন তাহলেও আপনার জন্য আরবি ভাষ শিক্ষা লাভ করার প্রয়োজন রয়েছে।
পরিশেষে, একটি সুখবর জানাচ্ছি, তা হল- বিশরা সাইট এর মাধ্যমে আরবি ভাষা শিখার উপর পাঠসমুহ ধারাবাহিকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। জেনারেল শিক্ষিত লোকদের যাদের ইংরেজি ব্যকরণ সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে, তারা খুব সহজেই এভাবে আরবি ভাষা শিখতে পারেন।
আরবি ভাষা শিখার জন্য লিংকে ক্লিক করে ভিজিট করুন। কোন বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে, সেখানে কমেন্টের মাধ্যমে জানালে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।